বিনোদন প্রতিবেদক

  ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

বিশ্বে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে : শর্মিলা ঠাকুর

ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে রবিবার এক পর্বে অংশ নেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, জাবি উপচার্য অধ্যাপক সাদিকা হালিমসহ অন্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর বলেছেন, ‘সিনেমা-থিয়েটার সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। এখন ভারতসহ সারা বিশ্বেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে। আমি খুবই আশাবাদী মানুষ। নারীরাও এগিয়েছে। এখন ভারতে পুরুষ অভিনেতার তুলনায় নারী অভিনেত্রীরা আরো দক্ষতা নিয়ে কাজ করছে। পুরুষের মতোই তারা জনপ্রিয় হচ্ছে।’

রবিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ‘উইমেন ইন সিনেমা’ শীর্ষক এক পর্বে আলোচনায় এসব কথা বলেন শর্মিলা ঠাকুর। এদিন সকাল ৯টায় ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স উইটো মন ইন সিনেমা’ শীর্ষক আয়োজনের উদ্বোধনী পর্বের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক কিশওয়ার কামাল।

রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আহমেদ মুজতবা জামালের সঞ্চালনায় ‘উইমেন ইন সিনেমা’ শীর্ষক এক পর্বে আলোচনায় অংশ নেন ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এতে আলোচনায় অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমাদের চারপাশের বিভিন্ন দেশে নানাভাবে এখনও পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিরাজমান। সিনেমা হলো সেই মাধ্যম, যা আমাদের সামনে দেখায়- কোন সমাজে পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার গভীরতা কতটুকু।’

অধ্যাপক কিশওয়ার কামাল বলেন, ‘পৃথিবীতে সিনেমার ভাষা একই। একইভাবে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে এই মাধ্যম। আজ নারীদের চলচ্চিত্রের অংশগ্রহণ আমাদের মধ্যে সেই যোগাযোগ তৈরি করছে।’

সহ-আয়োজক হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম। তিনি বলেন, ‘শর্ট লেংথের ফিল্ম দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আর এখন ফুল লেংথের ফিল্ম নিয়ে আন্তর্জাতিক উৎসব হচ্ছে। কিন্তু এই আয়োজনের পুরোভাগে ছিল ব্যক্তিগত উদ্যোগ। তেমন কোনো সরকারি সহযোগিতাও ছিল না।’

এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে উৎসবের এক পর্ব হয়। এতে ‘নেভিগেটিং ডুয়াল আইডেনটিটি : অ্যান এক্সপ্লোরেশন অফ ইন্টারসেকশনালিটি ইন মাদারহুড অ্যান্ড ফিল্মমেকিং’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সেইন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ইন কলকাতা-এর গণযোগাযোগ ও ভিডিও গ্রাফি বিভাগের প্রধান ড. ইপ্সিতা বরাট।

এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন নয়াদিল্লির জামিলা মিলিয়া ইসলামিয়ার এজেকে গণযোগাযোগ গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক ড. সোহিনী ঘোষ, লেখক ও সমালোচক আলম খোরশেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাতেমা আমিন।

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেকটর ফারাহ কবীরের সভাপতিত্বে ‘স্টিয়ারিং থ্রু দ্য ক্লেভার হুইস্পার্স অফ মডার্নিটি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাড শিক্ষার্থী সামারাহ জান্নাতি জামাল। এ পর্বে আলোচনায় অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্রাড শিক্ষার্থী আফিফা আক্তার, ডকুমেন্টারি বিভাগে আন্তর্জাতিক পুরস্কারজয়ী পর্তুগালের নির্মাতা ফিলিপা কারদোসো।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভারতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী,শর্মিলা ঠাকুর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close