গেঞ্জি ও হাফপ্যান্টে বিয়ের আসরে আমিরের জামাই নূপুর, কারণ জানালেন ইরা
একবার ভাবুন তো কোনো বিয়ের আসরে গিয়ে দেখলেন গেঞ্জি ও হাফপ্যান্ট পরে বর বিয়ে করতে এসেছে, ব্যাপারটা কেমন হবে? হচকিয়ে যাবারই কথা।
কিন্তু এমন অদ্ভূতভাবে বিয়ের আসরে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্টের মেয়ের জামাই নূপুর শিখর।
বিয়ের আসরে ইরার পাশে তাকে দেখা গেলো পরনে হাফপ্যান্ট ও কালো গেঞ্জি, পায়ে দৌড়বাজের জুতো। রাস্তা জুড়ে সাজানো পোস্টারে বিভিন্ন ইমোজি। ঘর্মাক্ত গায়েই বিয়ের আসরে হাজির হলেন তিনি।
প্রথাগত সাজের বাইরে গিয়ে এ ভাবেই আমির খানের কন্যার সঙ্গে সইসাবুদ (কোর্ট ম্যারেজ) করে বিয়ে সারলেন ‘ফিটনেস প্রশিক্ষক’ নূপুর শিখর।
নতুন বছরের শুরুতেই দীর্ঘ দিনের প্রেমিক নূপুর শিখরের সঙ্গে চার হাত এক হল ইরার। বাবা তাবড় তারকা হলেও অন্যান্য তারকা-সন্তানদের তুলনায় আলাদা ইরা। তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে যে অভিনবত্বের ছোঁয়া থাকবে, সেটা আগে থেকে আঁচ করা গিয়েছিল।
বলিউডি কনেদের মতো দামি লেহঙ্গা নয়, বরং ইরা সেজেছিলেন হারেম প্যান্ট, ব্লাউজ, ওড়নায়। ইরার স্বামী নূপুরের সাজে ছিল অন্য চমক। শেরওয়ানি বা কুর্তা নয়— কালো রঙের গেঞ্জি ও সাদা হাফপ্যান্ট পরে বিয়ের মঞ্চে এসে ওঠেন তিনি! ওই পোশাকেই সইসাবুদ সারেন।
বিয়ের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতেই নূপুরের সাজপোশাক নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনা। স্বামীর পোশাক নিয়ে যে সমালোচনা চলছে, তারই জবাব দিলেন আমির-কন্যা।
বিয়ের পর এক দিন কাটতেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে স্বামীর সঙ্গে ছবি দিয়ে ইরা লেখেন, ‘না, ও ঘোড়ায় চেপে আসেনি, দৌড় দিয়ে বিয়ে করতে এসেছে। সারা রাস্তা জুড়ে ওর জন্য পোস্টার দিয়ে সাজিয়েছিলাম আমি।’
পেশায় ফিটনেস প্রশিক্ষক নূপুর। শরীরচর্চার মধ্যেই থাকতে ভালবাসেন তিনি। সেই কারণে তাঁদের এই বিয়ে আসলেই একটি ‘থিমড ওয়েডিং’।
তবে আইনি বিয়ের পর্ব মেটার পর গোসল সেরে অবশ্য গাঢ় নীল রঙের শেরওয়ানিতে সেজে আবার বিয়ের মঞ্চে হাজির হন নূপুর। ইরা অবশ্য আগের পোশাকেই ছিলেন।
সূত্র- আনন্দবাজার