নিজস্ব প্রতিবেদক ও ইবি প্রতিনিধি
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন : পাঁচ শিক্ষার্থী হল থেকে বহিষ্কার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনের স্থায়ীভাবে আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। এ ছাড়া আবাসিক হলে ওই ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এতে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম, হালিমা খাতুন ঊর্মি, ইশরাত জাহান মীম ও মায়োবিয়ার সিট বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থায়ীভাবে তাদের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতিসহ ওই চারজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওইদিনই শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
এদিকে ইবির আবাসিক হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মিল্টন তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেন। এর আগে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইবির রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি। ওইদিন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল ৫০০৯ নম্বর স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান, ‘আমার কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। এটি উপাচার্য বরাবর ও হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।’