বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ওপর যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচএম আনিসুজ্জামান। বর্তমানে তিনি কৃষি বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৯ সাল থেকে ঐ বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। এদিকে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে উঠে আসে একের পর এক অভিযোগ। ভাইরাল হওয়া ওই ফোনালাপে তিনি একাধিকবার সেই ছাত্রীর সঙ্গে একাকি সময় কাটানোর জন্য জোর করতে থাকেন। জবাবে সেই ছাত্রী বারবার অসম্মতি জানালে তিনি নানা রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। এছাড়াও পরীক্ষার আগে ওই ছাত্রীকে প্রশ্ন দেওয়াসহ নাম্বার বাড়িয়ে দেওয়ার কথা উঠে আসে ওই আলাপনে।

ইতোমধ্যে ঐ বিভাগীয় সভাপতির নানা অনৈতিক ও অসঙ্গতিপূর্ণ কাজে শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই পরীক্ষার ফলাফল ও সার্টিফিকেটের জন্য বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে মুখ খুলতে চান না জিম্মি থাকা শিক্ষার্থীদের অনেকেই। অভিযুক্ত শিক্ষকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলতে গেলে নানাবিধ চাপ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর, কিন্তু আমাদের এই শিক্ষকের বিষয়টি ব্যতিক্রম। তিনি বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করে থাকেন। অনেকেরই পরীক্ষার উত্তর পত্রে নাম্বার বাড়ানো- কমানো তার ইচ্ছামত হয়ে থাকে।

এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের সভাপতি অভিযুক্ত শিক্ষক আনিসুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। কোনো স্বার্থান্ধ মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মিথ্যাচার ছড়িয়েছে।

কৃষি অনুষদের ডীন ড. মোঃ মোজাহার আলীর কাছে তার বিষয়টি তুললে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অফিশিয়ালি এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো তথ্য পাইনি৷ তবে পরীক্ষাবিষয়ক অনিয়মের বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষকদের সম্মতিতে তা সংশোধনও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, তার ব্যাপারে আমার কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।