নিজস্ব প্রতিবেদক
রংতুলিতে নিসর্গের চিত্র
রাজধানীর ধানমন্ডিতে শফিউদ্দীন শিল্পালয়ে চলছে শিল্পী কামরুন নাহারের তিন দিনব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী ‘নিসর্গের চিত্র’।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক ও ওয়েস্টার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এম আলাউদ্দিন ভূঁইয়া।
বাংলাদেশের গ্রামবাংলার জীবনধারার উপর বিভিন্ন মাধ্যমে আঁকা কামরুন নাহারের ৩৫টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। বুধবার প্রদর্শনীর শেষ দিন। সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শাজাহান খান বলেন, সবুজ শ্যামল আমাদের এ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে আলাদা স্থান করে নিয়েছে। আমাদের গ্রামবাংলার নৈসর্গিক চিত্রমালা রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী কামরুন নাহার। যা সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক বলেন, কামরুন নাহারের চিত্রমালায় উঠে এসেছে আমাদের গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি। প্রতিটি চিত্রকর্মেই দেখা যাচ্ছে গ্রামের অপরূপ চিত্র। প্রথাগত শিল্পী না হয়েও ক্যানভাসে তিনি এঁকেছেন সুজলা-সুফলা বাংলাদেশের স্বকীয় রূপ। এমন একটি দেশের কল্পনাই তো আমরা করি। যেখানে আমাদের শিকড়ে গেঁথে আছে মাটির ঘ্রাণ। আমি তার সাফল্য কামনা করি।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। শফিউদ্দীন শিল্পালয় ঘুরে দেখা যায়, গ্যালারির দেয়ালে শোভা পাচ্ছে শিল্পীর হাতে আঁকা চিত্রমালা। এ যেন শ্যামলিমা বাংলার শৈল্পিক এক রূপ। যেখানে শিল্পী কামরুন নাহারের রংতুলিতে মূর্ত হয়েছে নদীময় গ্রামীণ জীবন। নৌকা নিয়ে যাচ্ছেন মাঝি। দিগন্ত বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত, কৃষকের বাড়িতে খড়ের গাদা, শরতের কাশফুল কিংবা কখনো কখনো গ্রামের বাড়ির উঠোন বা ছনে ছাওয়া ঘর।
আর্ট কলেজ থেকে পাশ না করেও নিজ চেষ্টায় কামরুন নাহার আয়ত্ব করেছেন ছবি আঁকার কলাকৌশল। অয়েল, অ্যাক্রেলিক কিংবা যেকোনো মাধ্যমেই ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন মনের ভাব। আশির দশকে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। পরবর্তী সময়ে স্বামীর ব্যবসায় যোগ দেন। শখের বসে শিখেছেন অনেক কিছু। করেছেন নানা কাজ। বর্তমানে ছবি আঁকাই তার ধ্যান-জ্ঞান। ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল। সেই প্রেরণা থেকেই এঁকেছেন প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া চিত্রকর্মগুলো।
শিল্পী কামরুন নাহার বলেন, আজকের এ পথ পাড়ি দিতে পেরেছি শুধু নিজের ইচ্ছে শক্তির কারণে। নিজের শখের যায়গা বা ভালো লাগার যায়গা ধরে রাখতে চাইলে, একটু কম্প্রমাইজ একটু সেক্রিফাইস করে ধৈর্যের সঙ্গে লেগে থাকলে একসময় সফলতা আসবেই।
পিডিএস/মীর হেলাল