মামুন আহম্মেদ, বাগেরহাট
বাগেরহাট তলিয়ে গেছে ১৫শ হেক্টর জমির ফসল
টানা বৃষ্টি ও জোয়ারে ভেসে গেছে ১০ হাজার মৎস্য ঘের, চাষিরা দিশেহারা
জোয়ার ও টানা বৃষ্টির পানিতে বাগেরহাটের ১০ হাজার ৬শ ৫০টি মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। ফলে জেলার কয়েক হাজার মৎস্য চাষি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এতে গলদা, বাগদা ও সাদা মাছের প্রায় ৫৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মৎস্য বিভাগের। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি ঢুকে চিংড়ি ঘেরগুলোতে পানি থৈথৈ করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার বিপুল পরিমান চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের ভেসে যাবে বলে আশংকা করছে সংশ্লিষ্ট ঘের মালিকরা।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার ১০ হাজার ৬শ ৫০টি মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। এতে ৫৫ কোটি ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মাছের ঘের তলিয়ে চাষীদের আর্থিক ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রপুর, কাড়াপাড়া, বেমরতা ইউনিয়নের মাদরাসা বাজার, চিতলী, ফতেপুর, দত্তকাঠি, কাড়াপাড়া, শিংড়াই, দেওয়ালবাটি, যাত্রাপুর, বারুইপাড়া, বিষ্ণুপুর, পাটরপাড়া, রাধাবল্লব এলাকার মাছের ঘের, সবজি, পান ও ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানির প্রবাহে বেরিয়ে গেছে শত শত ঘেরের মাছ। এছাড়াও জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, চিতলমারি, মোল্লাহাট উপজেলা হাজার হাজার চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, একটানা ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা, গোটাপাড়া, বিষ্ণুপুর, যাত্রপুর ও কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মাঝিডাঙ্গা এলাকার শত শত হেক্টর সবজি ক্ষেত ও ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। অপরদিকে, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, চিতলমারি, মোল্লাহাট উপজেলার হাজার হাজার হেক্টর সবজি ও ফসলি জমি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে মিজ্জিত রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির পানিতে কৃষি জমির বীজতলা ও সবজি এবং পানের বরাজ তলিয়ে গেছে। এপর্যন্ত জেলায় মোট ১৪৯৪ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থা থাকলে আরও অনেক বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করেন কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।
পিডিএসও/রিহাব