বরিশাল প্রতিবেদক
বরিশালে আলোচিত নারী কাউন্সিলর রুপা আটক
অবশেষে বরিশালের বহুল আলোচিত সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ইসরাত আমান রুপাকে আটক করেছে পুলিশ। একজন সাপুড়েকে হত্যা চেষ্টার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
গত মাস দুয়েক ধরে সাপুড়িয়া মান্না পাহাড়িকে একজন মাদক বিক্রেতার পক্ষ নিয়ে সেলফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় রুপাকে নিয়ে নগর জুড়ে নানা বিতর্ক চলছিল। সাপুড়িয়া মান্না পাহাড়ি রুপার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, মিছিলও করে। নানান কেলেংকারির পর সাপুড়িয়ার সাথে দ্বন্ধে রুপাকে নিয়ে পত্র-পত্রিকায় শুরু হয় লেখালেখি।
সোমবার রাতে নবগ্রাম রোডের মদিনা সড়কস্থ নিজ বাসার সামনে সাপুড়ে মান্না পাহাড়ীকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। গুরুত্বর আহত মান্না পাহাড়ী এই ঘটনার সাথে কাউন্সিলর রুপার সংশ্লিষ্টতা দাবি করে এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে দায়েরকৃত মামলায় আসামি করে। অবশ্য প্রাথমিকভাবে দায়েরকৃত মামলায় রুপার কোন নাম ছিলো না। মান্নার দাবি মতে স্থানীয় রাজা বাহিনী তার উপড় এই হামলা চালায়। মান্না পাহাড়ী ও রাজার সাথে সম্প্রতি বিরোধ চরম পর্যায়ে ধারণ করে।
ইতোপূর্বে উভয়ের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ছিলো। অভিযোগ রয়েছে রাজা ও মান্না পাহাড়ি মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। তা নিয়েই আবার বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধের জের ধরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত-১৬,১৭,১৮ নং-ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার রুপা মাদক ব্যবসায়ী রাজার পক্ষ নিয়ে মান্না পাহাড়ীকে জীবন নাশের হুমকি দেয়।
অভিযোগ রয়েছে রুপার সাথে যুবলীগ নেতা হিসেবে দাবিদার রাজার একটি গোপন যোগসুত্র রয়েছে। তার প্রমানও মিলেছে। এ ঘটনায় মান্না পাহাড়ী দালিলিক প্রমান সহ রুপার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি জিডি করে। এর পর থেকেই রুপাকে নিয়ে মিডিয়ায় ব্যাপক লেখালেখি চলছিল। বেরিয়ে আসছিল নানা কেলেংকারির খবর। এরইমধ্যে ঘটে মান্না পাহড়ির উপর হামলা। এ ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে দায়েরকৃত মামলায় রুপার নাম আসামির তালিকায় ছিলো না।
কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে রুপার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে মামলার আসামি হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।
পিডিএসও/রিহাব