খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

  ১৫ জুলাই, ২০২০

শান্তি চুক্তির সুফল পাচ্ছে পার্বত্যবাসী

১৫ জুলাই বুধবার ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পতিষ্ঠার ২২ বছর ফূর্তি। জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে সকাল সাড়ে ১১ টায় কেবল মন্ত্রণালয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রমা রানী রায়ের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়টির সাবেক সচিব এবং বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম বিশোর ত্রিপুরা (এনডিসি), খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, রাংগামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দরা উপিস্থিত ছিলেন।

পার্বত্যবাসী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সুফল ভোগ করছে উল্ল্যেখ করে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম বিশোর ত্রিপুরা (এনডিসি) বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি’র ‘ঘ’ খন্ডের ১৯ ধারায় (উপজাতীয়দের মধ্য হইতে একজন মন্ত্রী নিয়োগ করিয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক একটি মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা করা হইবে উল্ল্যেখ করা হয়।) সেই অনুযায়ী ১৫ জুলাই ১৯৯৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১১ সালে তিনি মন্ত্রনালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করার পর থেকে পরবর্তী ২০১২ সাল থেকে ব্যতিক্রমধর্মী মন্ত্রনালয়টির প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেন। আর সেই থেকে দিনটি উদযাপন আজো অব্যাহত রয়েছে।

নব বিক্রম বিশোর ত্রিপুরা আরো জানান, মঙ্গলবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) ২১৭ কোটি টাকার পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে। যা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম ও দূরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী ৪০ হাজার পরিবারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সৌর বিদ্যুতের হোম সিস্টেম দেয়া হবে।

এছাড়াও, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় ৪৯৫০ টি অসচ্ছল প্রান্তিক চাষী পরিবারকে মিশ্র ফলের বাগান সৃজন করে দেয়া হয়েছে। একসময়ের পরিত্যক্ত ও অনাবাদি পাহাড়ের ঢালু জমিতে গড়ে উঠেছে দুই সহস্রাধিক মিশ্র ফলের বাগান। এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থানের।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শান্তি চুক্তি,সুফল,পার্বত্যবাসী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close