আল-আমিন মিয়া, পলাশ (নরসিংদী)

  ০৮ জুলাই, ২০২০

প্রতিদিনের সংবাদে খবর প্রকাশে সরকারি খাল দখলমুক্তের উদ্যোগ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা বাংলাদেশ সেচ ইরিগ্রেশন প্রকল্পের পাকা খালটি দখল ও ভরাটের কবলে পড়েছে। প্রকল্প কর্তৃপক্ষের খেয়ালিপনায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে এ খালটি। খালটির দু’পাশে গড়ে ওঠা বাসাবাড়ির ময়লা-আর্বজনা প্রতিনিয়ত এ খালে ফেলা হচ্ছে। কিছু কিছু স্থানে খালের ওপর পাটাতন দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

জানা যায়, এ খালটি ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শুরু করে পলাশ নতুন বাজার এলাকার পাশ দিয়ে গড়পাড়া, দড়িহাওলাপাড়া, আতশীপাড়া হয়ে ‘শালদা’র খালে গিয়ে মিশেছে। কুঠির পাড়া, গোরায়েরপাড়া, রাবান, কুড়াইতুলিসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে রয়েছে এ খালের বিস্তার। এই খালে রয়েছে অনেকগুলো সুইচগেট।

১৯৯২ সালে পলাশ উপজেলায় সেচ ইরিগ্রেশন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের সুবিধার্থে খালটি কেটে পাকা করার উদ্যোগ নেয় সরকার। আগে এর দু’পাশে কোনো বাড়িঘর ছিল না। সেচ প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী খালের দুইপাশে ছয়ফুট করে ১২ফুট জায়গা ফাঁকা ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে খালটির দুই পাশে মাটি ভরাট করে বাড়িঘরসহ বহুতল ভবন গড়ে ওঠে। অবৈধ দখলে চলে যায় খালটির ১২ ফুট জমি।

বর্তমানে বাথরুমের ময়লা পানি, ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা-আর্বজনার স্তূপ জমে পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। খাল অর্ধেকের চেয়েও বেশি ভরাট হয়ে গেছে। খালটি এখন এডিস মশা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে।

এ নিয়ে গত ১৩জুন দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ ও ১৪ জুন প্রিন্ট সংস্করণে ‘পলাশে চলছে সরকারি খাল দখলের মহোৎসব’ শিরোনামে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিনের।এরপর নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিনের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম।

তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে উপজেলা সেচ ইরিগ্রেশন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে খালটি পরিদর্শন করে পত্রিকার সংবাদের সত্যতা পাওয়ায় খাল দখলকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম।

এসময় আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি খালটি অবৈধভাবে প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ময়লা-আর্বজনা ফেলে খালটি এডিস মশা তৈরির কারখানা বানিয়ে ফেলেছে। অতি দ্রুত এই খালটির দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। সেজন্য খালের দু’পাশে দখলকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে সর্তক করা হয়েছে।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রতিদিনের সংবাদ,খবর প্রকাশ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close