কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ২০ মে, ২০২০

কমলগঞ্জে দাদনের টাকার জন্য ঋণগ্রহীতাকে নির্যাতন

কমলগঞ্জের মুন্সীবাজার ইউনয়িনের হরিশ্চরণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালক প্রয়োজনে এলাকার দাদন ব্যবসায়ী গনু মিয়ার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। ৬০ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার পরও করোনা দুর্যোগকালে বাকি ২০ হাজার টাকা ফেরৎ না দিতে পারায় দাদন বব্যসায়ী গনু মিয়া ও তার ভাতিজা মারুফ মিয়া মিলে তাকে (সোহেল মিয়াকে) ধরে নিয়ে আটিকয়ে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার সকাল ১১টায় এ ঘটনাটি ঘটলে খবর পেয়ে পুলিশসহ সাংবাদিকরা দাদন ব্যবসায়ী গনু মিয়ার বাড়ি থেকে নির্যাতিত ঋণ গ্রহীতা সোহেলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গনু মিয়া একজন চিহ্নিত দাদন ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে দাদনে টাকা নিয়ে যারা সময়মত পরিশোধ করতে পারে না তাদেরকে এভাবে বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করেন। এমনিভাবে বুধবার গাড়ি চালক সোহেল মিয়াকে ধরে নিয়ে আটিকয়ে রেখে নির্যাতন করেছেন। ঘটনা শুনে কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তোফজ্জল হোসেন দাদন ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে সোহেল মিয়াকে উদ্ধার করেন। তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ী পালিয়ে যান।

এসময় নির্যাতিত সোহেল মিয়া বলেন, তিনি ৮০ হাজার টাকা নিলেও ইতোমধ্যেই ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু দাদন ব্যবসায়ী ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ হয়নি দাবি করে সমূহ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে বুধবার গাড়ি চালক সোহেলকে ধরে নিয়ে যান।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়ে দাদন ব্যবসায়ীকে না পেলেও তার স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, সোহেল টাকা ধার নিয়েছিল। এর পর আর টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না বলে তাকে বাড়িতে আনা হয়েছিল। তবে কোন নির্যাতন করা হয়নি।

তবে মুন্সীবাজার ইউনয়িনের ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গনু মিয়া একজন চিহ্নিত দাদন ব্যবসী। যারা ধার নিয়ে সময়মত টাকা ফেরৎ দিতে পারে না তাদের বেলায় সে এমন আচরণ করে।

কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তোফাজ্ঝল হোসেন বলেন, নির্যাতিত ঋণ গ্রহীতা গাড়ি চালক সোহেল মিয়াকে উদ্ধার করে আপাতত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে সুস্থ্য হলে অভিযোগ দিওে পরবর্তীতে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমলগঞ্জ,দাদন,ঋণগহীতা,নির্যাতন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close