তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ৩০ এপ্রিল, ২০২০

চলনবিলে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংকট

মাছের অভয়াশ্রম না থাকা, খাল বিলের তলদেশ ভরাট হওয়ায় তা দীর্ঘ সময় খনন না করা, গণহারে মাছের প্রজননকালে মা শিকার করাসহ নানা কারণে মৎস্য ভান্ডারখ্যাত চলনবিলে গ্রীষ্মকালে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাজারে দেশীয় প্রজাতির যে মাছ মিলছে, তার অধিকাংশ পুকুরে বাণিজ্যিক ভিক্তিতে চাষ করা মাছ।

জানা গেছে, চলনবিলে ৯ উপজেলায় গ্রীষ্মকালে খাল, বিল, ডোবা, নালা সেচে শুকিয়ে মাছ শিকার করা এবং বৃহত্তর চলনবিলে ১২ মাস পানি থাকে এমন ডোবা নালা নেই বললেই চলে। যে কারণে মাছের প্রজননকালে মা মাছ না থাকায় মাছের বংশ বিস্তারে ভাটা পড়েছে। এর ফলে বিলজুড়ে মাছের বাজারে দেশীয় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে।

বর্তমানে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া ও নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাট-বাজারে দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ পুঁটি, মলা, ঢেলা, চিংড়ী, চান্দা, বাতাসী, গুচই, পবা, কই, মাগুর, সিং, চেলা , বাইম, কৈ, শৈল, গজার, মেনি, ইত্যাদি মাছের সরবরাহ খুব কম।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসান মাহমুদুল হক বলেন, শুষ্ক মৌসুমে চলনবিল এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশীয় প্রজাতি মাছের সংকট লক্ষ্য করা যায়। বৃহত্তর চলনবিলে দেশীয় প্রজাতির মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তুলে, খাল বিল পুনঃখনন করে, দেশীয় প্রজাতির মা মাছ নিধন বন্ধে মৎস্যজীবীদের আরও সচেতন করে এই সংকট উত্তরণ সম্ভব।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মাছের সংকট,চলনবিল,তাড়াশ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close