reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ এপ্রিল, ২০২০

ভিক্ষুকের পর এবার ঘর নির্মাণের টাকা দান করলেন অটোচালক

এবার মানবিকতার আরেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন অটোচালক রাজ কুমার বিশ্বাস। নিজের ঘর নেই। এক মাস আগে নদী রক্ষায় জেলা প্রশাসনের অভিযানে তার ঘরও ভাঙা পড়েছে। নবগঙ্গা নদীর পাড়ে সরকারি জমিতে শিশু সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন।

রাজ কুমার স্বপ্ন দেখেন নিজের একটা ঘরের। পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে কষ্ট করে জমিয়েছিলেন ৫০ হাজার টাকা। সেই জমানো টাকা দান করে দিলেন করোনা দুর্গতদের জন্য।

সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের কার্যালয়ে গিয়ে নিজের জমানো ৫০ হাজার টাকা দান করেন রাজকুমার।

রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘নিজের ঘরবাড়ি করার জন্য এই টাকা গুছিয়েছিলাম। যে পরিস্থিতি দেখছি কখন মরে যাব ঠিক নাই। এই টাকা পয়সা দিয়ে কী করব? এর চেয়ে দেশের মানুষের সাহায্যে লাগুক এই টাকা।’

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, ‘রাজ কুমার নবগঙ্গা নদীর পাড়ে সরকারি জমিতে থাকেন। পরিশ্রম করে টাকা জমিয়েছিলেন ঘর করবেন বলে। একমাস আগে নদী রক্ষার জন্য তার ঘর-স্থাপনাও ভাঙা পড়ে।’

তিনি আরও জানান, ‘তিল তিল করে জমানো ৫০ হাজার টাকা দান করে দিলেন করোনা ভাইরাসজনিত দুর্গতদের জন্য। নিজের কথা একটুও চিন্তা করলেন না। অভিবাদন, এই মহান মানুষকে। জেলা প্রশাসন পরিকল্পনা নিয়েছে তাকে বিশেষ সম্মাননা জানানোর।’

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ত্রাণ তহবিলে গত দুই বছরে সঞ্চয়ের ১০ হাজার টাকা দান করেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গান্ধীগাঁও গ্রামের ভিক্ষুক নজিমুদ্দিন। নিজের ভাঙা বসতঘর মেরামত করার জন্য ভিক্ষা করে ওই টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে আমাদের সময়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নজিমুদ্দিনকে ১২ শতক জমি এবং পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জীবিকা নির্বাহের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে একটি মুদি দোকান।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অটোচালক,দান,ঘর নির্মাণ,করোনা তহবিল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close