ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দিনে পৃথক তিনটি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা কুল্লা ইউনিয়েনর কেলিয়া গ্রামের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে শুক্রবার কেলিয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন ঘরের ভিতরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্ত আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্সমকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা

এরপর শনিবার কুশুরা এলাকায় মাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়।

রোববার ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কুশুরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষণকারী একই গ্রামের মৃত ময়জুদ্দিনের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (৫৫) রুফু।

কাওয়ালী পাড়া পুলিশ পরিদর্শন কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই রাসেল মোল্লা জানান, এ ঘটনায় ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার পৌর শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় দশ বছর বয়সী ঘুমন্ত মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সৎ বাবার বিরুদ্ধে। শনিবার ভোরে মেয়েকে ঘরে রেখে মা কর্মস্থলে গেলে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়।

ওই অভিযুক্ত পিতা মোজাহার হোসেন মুন্নু সিরামিক কারখানার কনস্ট্রাকশন সেকশনের শ্রমিক। তার বাড়ি নীলফামারী জেলায়।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই ধর্ষক পিতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায়ও ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা।