নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেছেন, গণতন্ত্রের উন্নয়নের জন্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে স্বচ্ছ নির্ভুল ভোটার তালিকার বিকল্প নেই। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকায় প্রাথমিক তথ্যে যদি গরমিল দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে একজন নাগরিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় সেবা পেতে নানান ধরণের হয়রানিতে পড়ে। সেই জন্য সরকার মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের দ্বায়িত্ব দিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাণীনগর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হল রুমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০১৯ উপলক্ষে সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা করতে ব্যাপক প্রচারসহ তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সমন্বয়ে একটি গ্রহণযোগ্য তালিকা করতে হবে। প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের জনগণকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি দেশে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গারা যাতে এই তালিকায় স্থান না পায়, সেই দিকে কড়া দৃষ্টি রাখতে হবে।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে নির্বাহী অফিসার মো. আল মামুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ফরিদুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক, রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার রুহুল আমিন প্রমুখ। প্রশিক্ষণে ১৬ জন সুপার ভাইজার এবং ৭২ জন তথ্য সংগ্রহকারী অংশ নেন।

পিডিএসও/হেলাল