সিলেট ব্যুরো

  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শিক্ষার্থীদের মারধরের প্রতিবাদে সিলেটে মশাল মিছিল

ভিসি, প্রক্টর, ট্রেজারার ও কনভেকেশনসহ সকল প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন এবং অবিলম্বে ২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও বহিরাগত হামলাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসআইইউ)’র সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্ট হয়ে সিটি পয়েন্টে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত বুধবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং প্রশাসনকে ৫ দফা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেওয়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৃহত্তর কর্মসূচী পালনের ডাক দেয়।

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমবিএ প্রোগ্রামে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ঘটনার প্রায় চার দিন পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও বহিরাগত হামলাকারিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আহত দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। এদিকে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে দফায় দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করলেও প্রশাসন তাদের সাথে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না।

চলমান সংকট নিরসনের পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা যতদিন নিশ্চিত করা না হবে ততদিন পর্যন্ত তারা তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং সিলেটের সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গকে যুক্ত করে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ দেন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে চলমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর মনির উদ্দিনের সাথে দেখা করতে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার আসার সময় ২০/২৫ জনের বহিরাগত ‘সন্ত্রাসীদল’ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়। এ সময় তাদের হামলায় ৭ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসির পদ শুন্য রয়েছে। প্রায় সবকটি প্রশাসনিক পদের কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে। স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা নিয়েও ঝামেলা চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরে। তবে কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ২ একর জায়গা লিখে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরে ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ।

তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টিবোর্ড নিয়েও রয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলা। যা আদালতে বিচারাধীন। এদিকে এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র ভর্তিতে সতর্কতা জারি করলে ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলনে নামে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিলে তারা ক্লাসে ফিরে যায়। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নামে।

পিডিএসও/এআই

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শিক্ষার্থী,মারধর,সিলেট,মশাল মিছিল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close