আব্দুল আলীম, নারায়ণগঞ্জ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর ময়লার ভাগার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তার একাংশ দখল করে ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এতে রাস্তা সরু হয়ে বিভিন্ন পরিবহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তীব্র র্দুগন্ধ ও যানজটের কারণে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরা।
শুক্রবার দুপুরে চিটাগাংরোড শিমরাইল এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, প্রায় ৩ মাস ধরে চিটাগাংরোড বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় হোটেল, ফল ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন এলাকার মানুষ ময়লা আবর্জনা মহাসড়কের উপর ফেলে রেখে বড় স্তুপের সৃষ্টি করে রেখেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী একাধিকবার ময়লা আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ করলেও ব্যবসায়ী ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা শুনেনি। তারা দিন রাত আবর্জনা ফেলে মহাসড়কের ঢাকা-চট্রগ্রাম রোডের দক্ষিন পার্শ্বের প্রায় অর্ধেক অংশ দখল করে ফেলেছে। সড়কটি দেখাশুনার দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
চিটাগাংরোডের (শিমরাইল) এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী দিদারুল আলম জানান, সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বে মহাসড়কের উপর এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে মহাসড়ক দখল করে ফেলা কোনও সভ্য সমাজের মানুষ মেনে নিতে পারে না। মহাসড়কের উপর ময়লার স্তুপ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্গন্ধ সহ্য করে আমাদের পথ চলতে হচ্ছে। সওজ এর কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় এসব কর্মকান্ড হলেও রহস্যজনক কারণে তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
চিটাগাংরোড এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী আকবর ও ফল ব্যবসায়ী জাবেদ জানান, কোথাও ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গা না থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে এখানে ময়লা ফেলছি। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিচ্ছন্নকর্মীরা মহাসড়কের উপর ময়লা ফেলে মহাসড়ক দখল করে ফেলছে।
এব্যাপারে নারায়নগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী অলিউর রহমান জানান, মাহাসড়কের উপর ময়লা আবর্জনা ফেলায় পথচারীদের চলাচল ও যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। খুব শিগগির এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিডিএসও/রিহাব