পরিস্থিতি আতঙ্কজনক : মঞ্জু
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, ‘৪০টি ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকেরা। তারা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের সামনে জটলা। বিএনপির পোলিং এজেন্ট, সমর্থক ও ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে ঢুকতে না পারে, এজন্য ঘেরাও করে রেখে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তারা।’ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে খুলনা জেলা স্কুল কেন্দ্রে নজরুল ইসলাম মঞ্জু সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী জানান, ‘খুলনা জেলা স্কুল কেন্দ্রে একাডেমিক ভবন ১ ও একাডেমিক ভবন ২ এ দুটি ভবনে ভোট হচ্ছে। একটিতে ভোটার এক হাজার ৩৭০ ও অপরটিতে দুই হাজার ৩৩৮ ভোট। বুথের সংখ্যা ১২টি। কিন্তু একটিতেও বিএনপির পোলিং এজেন্ট নেই। তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে একাডেমিক ১ ভবনের প্রিসাইডিং অফিসার কাজী মোহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ধানের শীষের এজেন্টরা এখন পর্যন্ত আমার কাছ পর্যন্ত এসে পৌছায়নি।’ একাডেমিক ভবন ২-এর প্রিসাইডিং অফিসায় আতিয়ার রহমানও একই বক্তব্য দেন। একাডেমিক ভবন ২-এর ৮টি বুথের মধ্যে ২ নম্বর বুথে নৌকার মার্কার ২ জন এবং ৪ নম্বর বুথে ৩ জন পোলিং এজেন্টকে পাওয়া যায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মঞ্জু জানান, ‘তিনি যে ৫-৬টি কেন্দ্রে গেছেন, সেসব কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। কেন্দ্রের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’ এখন পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালেয় বিএনপির পক্ষ থেকে ৪০টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১, ১৩, ১৫,২২, ২৫, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১ ওয়ার্ডগুলো রয়েছে।
মঞ্জু বলেন, কোনো ভোটই হচ্ছে না। অবস্থা খুবই খারাপ। আমার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্রের বাইরে থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ পরস্থিতিতে তিনি কী করবেন—জানতে চাইলে মঞ্জু বলেন, আরো দেখব।
খুলনার নির্বাচনে মেয়র পদে এবার পাঁচজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা এবং বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মিল হক হাতপাখা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে) এবং জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল) মেয়র পদে লড়ছেন।
পিডিএসও/হেলাল