সবজির দাম কমছেই না
ভরা মৌসুমেও দেশে সবজির দাম কমছেই না। মাঝে কয়েকদিন সামান্য স্থিতিশীল হলেও এখন আবার ক্রেতাকে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে সবজি। দু’একটি বাদে ৪০ টাকা কেজির নীচে সবজি নেই বললেই চলে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কেন সবজির দাম বেশী এর কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই বিক্রেতার কাছে। গত প্রায় এক বছর ধরেই সবজির বাজারের এই অবস্থা চরছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষকে। গত ডিসেম্বরে বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলে দাম কিছুটা কমে আসে। কিন্তু গত প্রায় ৮-১০দিন ধরে সবজির দাম আবার বেড়েছে। সবজি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত বছর দেশে বন্যায় সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপ্রভাবে প্রায় বছরজুড়েই সবজির দাম ছিল বেশ চড়া। কিন্তু এখন বাজারে শীতকালীন সবজি উঠলেও দাম সেভাবে কমেনি। তারা বলেন, পাইকারী বাজারে দাম বেশি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার ও শান্তিনগর বাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়- বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং মটরশুটি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও বাঁধাকপি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচমরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, আদা ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, রসূন ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছ মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে প্রতি কেজি রুই ২২০ থেকে ৩৫০টাকা, কাতলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০, চাষের কৈ ২২০ থেকে ৩৫০, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ২২০, টেংরা ৫০০ থেকে ৬০০, মাগুর ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৫০ টাকা, গরু ৪৭০ টাকা ও খাসি ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অনেকটা ক্ষোভের সাথেই কাওরানবাজারে বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, এখন আর সবজি মৌসুম বলে কিছু নেই। সারাবছরই দাম বেশি। তিনি বলেন, সবজি আর মধ্যবিত্তের খাবার নয়। আর এই বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে যে পরিমাণ সবজির সরবরাহ হয়, এবার তুলনামূলক কম। তাই পাইকারী বাজারেও সবজির দাম বেশী। তিনি বলেন, দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এর পর থেকে দাম কমতে পারে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ