নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২০

কমেছে সরকারের ভর্তুকি ব্যয়

গত এক বছরের ব্যবধানে সরকারের ভর্তুকি খাতে ব্যয় অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি বাবদ সরকারের ব্যয় হয়েছে ৬৩ হাজার ১০১ কোটি টাকা। সেখানে গত অর্থবছরে এ ব্যয় ৫৯ শতাংশ কমে হয়েছে ২৫ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মূলত জ্বালানি খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়ায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় বেড়েছিল। বিশেষ করে, সে সময় বেশি দামে জ্বালানি তেল কিনে দেশের বাজারে কম দামে তা বিক্রি করতে হতো। এ কারণে এ খাতে ভর্তুকি ব্যয় অনেক বেড়েছিল। সে সময় জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দিতে হতো প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে সে সময় বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়েছিল। কিন্তু পরবর্তী অর্থবছরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় গত বছর এ খাতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়নি। তবে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি খাতে ব্যয় বাড়ায় এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এ বছর শুধু ‘এলএনজি’ খাতে ভর্তুকি দিতে হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি এক বছরের ব্যবধানে দেশে বিদেশি অনুদানের পরিমাণ কমেছে ২৮ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যেখানে অনুদানের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। সেখানে গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ অনুদান কমে হয়েছে ১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। অনুদান কমার পরিমাণ ২৮ শতাংশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ফিসক্যাল ম্যাক্রো পজিশন নিয়ে মাসিক প্রতিবেদনে অ্যাকচুয়াল বা আক্ষরিক তথ্য সন্নিবেশ করা হয়ে থাকে। তথ্যপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এ রিপোর্ট প্রকাশ করতে ছয়-সাত মাস দেরি হয়। কিন্তু এই প্রতিবেদনে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের চূড়ান্ত উপাত্তই প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

এদিকে গত বছর বিদেশিদের কাছ থেকে অনুদান কমলেও বিদেশে ঋণের সুদ পরিশোধ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমনÑ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছিল ২ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। সেখানে গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদেশি সুদে ব্যয় ৩৯ দশমিক ২৪ ভাগ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। একই সময়ে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ২৬ ভাগ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ খাতে ব্যয় করা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হয় ৪৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। জানা যায়, অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের জন্য সুদ বেশি দিতে হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close