নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ জুলাই, ২০১৯

আইএসসি-ইআরএফ যৌথ সম্মেলনে সালমান এফ রহমান

পোশাকের সঙ্গে অন্য খাতের রফতানিও বাড়াতে হবে

পোশাকের পাশাপাশি অন্য খাতের রফতানিও বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গতকাল মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএসসি) এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইআরএফের নিজস্ব কার্যালয়ে এই ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সিনিয়র ইকোনমিস্ট মাশরুর রিয়াজ ও বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ হোসনা ফেরদৌস।

এ সময় সালমান এফ রহমান বলেন, রফতানি পণ্য বহুমুখী করতে হবে। তবে সেটা পোশাককে বাদ দিয়ে নয়। পোশাকে আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছি। আরো উন্নতির সুযোগ আছে। পাশাপাশি অন্য খাতের রফতানি বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, পোশাকের মতো সব রফতানি খাত সমান সুযোগ পাবে। অতীতে আমরা সেই সুযোগ দেইনি। এবার সে সুবিধা পাবে। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সালমান এফ রহমান আরো বলেন, আমাদের গার্মেন্ট পণ্য বহুমুখীকরণ হয়েছে। পাশাপাশি গার্মেন্ট পণ্যের বাজারেরও বহুমুখীকরণ হয়েছে। আগে আমরা আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি করতাম। এখন বিশ্বের অনেক দেশে গার্মেন্ট পণ্য রফতানি করা হচ্ছে।

তবে শিল্পের এক খাত থেকে যখন আমরা অন্য খাতে যাচ্ছি, তখনই আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব দেখা দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের শ্রমিক সংকট না হলেও ম্যানেজারের সংকট হয়। সেই অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা বাইরে থেকে ম্যানেজার আনি। আশা করি, ভবিষ্যতে এ সংকট থাকবে না।

সালমান এফ রহমান আরো বলেন, আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’-এর র‌্যাঙ্কিং ঘোষণা করবে, আশা করছি বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং ডাবল ডিজিটে থাকবে। যদি আমাদের আশা পূর্ণ হয়, তাহলে এটি বাংলাদেশের রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), বেপজা ও হাইটেক পার্কÑ এসব জায়গায় যারা বিনিয়োগ করবে, তারা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সুবিধা পাবে।

তিনি আরো বলেন, নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষক বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। নতুন উদ্যোক্তাদের ৬৪ জেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উদ্যোক্তাদের সেøাগান হচ্ছে, ‘চাকরি চাই না, চাকরি দিতে চাই’। সহজে ব্যবসা করার সূচকে উন্নতি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, দেশে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে।

ওয়ার্কশপে ইআরএফ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে ৭৪৪টি পণ্য রফতানি হচ্ছে। কিন্তু রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশই আসে একটি মাত্র খাত পোশাক শিল্প থেকে। আমরা মনে করি, কেবল একটি পণ্যের ওপর এভাবে নির্ভরশীল হয়ে একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।

তাই রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। আমাদের পণ্য বহুমুখীকরণে বাধা কোথায়? সেটি নিশ্চয় সরকারের নীতি-নির্ধারকদের অজানা নয়। তবে আমরা মনে করি, ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহজীকরণের প্রতি আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close