নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ মার্চ, ২০১৯

জনবল সংকট

সেবা নিয়ে জটিলতায় রেলওয়ে

উচ্চ আদালতে মামলার কারণে গত কয়েক বছরে বিজ্ঞপ্তি দিয়েও বিভিন্ন পদে লোকবল নিয়োগ দিতে পারেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে অবসরে গেছেন প্রচুর কর্মী। বেড়েছে ট্রেন ও স্টেশনের সংখ্যাও। প্রায় ৩৯ শতাংশ পদশূন্য রয়েছে সংস্থাটির। এতে সেবার মান নিয়ে জটিলতার মুখে পড়েছে রেলওয়ে। এরই মধ্যে রেলওয়ের দুটি অঞ্চল ও চারটি পরিচালন বিভাগকে ভেঙে চারটি অঞ্চল ও আটটি পরিচালন বিভাগ করা হচ্ছে। এগুলো পরিচালনার জন্য বিদ্যমান শূন্য পদ পূরণ করার পরও আরো ১৭ হাজার ৩১২ জন নিয়োগ দেওয়া লাগবে। সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৪ সালের ১৩ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী রেলওয়েকে চারটি অঞ্চলে বিভক্ত করার নির্দেশ দেন। এজন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তথ্য মতে, রেলওয়ের চার অঞ্চলের মধ্যে বর্তমান পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের হেডকোয়ার্টার চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতেই থাকবে। তবে পূর্বাঞ্চলের অধীনে চট্টগ্রাম ও সিলেট পরিচালন বিভাগ থাকবে। আর পশ্চিমাঞ্চলের অধীনে থাকবে পাকশী ও লালমনিরহাট। এর বাইরে ময়মনসিংহ ও ঢাকা পরিচালন বিভাগকে নিয়ে গঠন করা হবে উত্তরাঞ্চল, যার হেডকোয়ার্টার হবে ময়মনসিংহ। আর রাজবাড়ী ও খুলনা পরিচালন বিভাগ নিয়ে গঠন করা হবে দক্ষিণাঞ্চল, যার হেডকোয়ার্টার হবে ফরিদপুরে।

রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাফিক বিভাগে বর্তমানে লোকবলের চরম সংকট রয়েছে। অপারেশনাল কাজ চালাতে গিয়ে কোনো কোনো স্টেশনে তিন শিফটে কাজ করতে হচ্ছে। তাই লোকবল বৃদ্ধি করার জরুরি।

রেলপথ সচিব মোফাজ্জেল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রেলওয়ের বিদ্যমান জনবলকে ৫০ হাজার ২৭৫ জনে উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদনের পর চার অঞ্চলে বিভক্তি ও তা পরিচালনার জন্য ৫৭ হাজার ৫৮৭ জনের নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদনের প্রস্তাব জনপ্রশাসনে পাঠানো হবে। সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদনের পরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তথ্য মতে, বর্তমানে রেলওয়ের অনুমোদিত জনবল রয়েছে ৪০ হাজার ২৭৫টি। তবে কর্মরত রয়েছে মাত্র ২৪ হাজার ৬২২ জন। অর্থাৎ ১৫ হাজার ৬৫৩টি পদশূন্য। তবে শূন্যপদ পূরণে মাত্র ২ হাজার ৪৯৩টি জনের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বর্তমানে রেলওয়েতে প্রথম শ্রেণির পদ রয়েছে ৫৬৩টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৪০৮ জন। আর ১৫৫টি বা ২৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ পদশূন্য। দ্বিতীয় শ্রেণির পদশূন্য রয়েছে ৬৯৮টি বা ৪৪ শতাংশ। বর্তমানে ১ হাজার ৫৮৭টি দ্বিতীয় শ্রেণির পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৮৮৯ জন। রেলে সবচেয়ে বেশি শূন্য রয়েছে তৃতীয় শ্রেণির জনবল। এ শ্রেণির অনুমোদিত পদ রয়েছে ২১ হাজার ৬৪৪টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১২ হাজার ৬০৩ জন। শূন্য রয়েছে ৪২ শতাংশ বা ৯ হাজার ৪১টি পদ। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির পদশূন্য রয়েছে ৫ হাজার ৭৫৯টি বা ৩৫ শতাংশ। রেলের এ শ্রেণির পদ রয়েছে ১৬ হাজার ৪৮১টি। তবে কর্মরত রয়েছেন ১০ হাজার ৭২২ জন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close