নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চামড়া রফতানিতে আয় ১৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার

চামড়াশিল্প থেকে সরকারের আয় কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। যদিও গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্টে) এ খাতে আয় ছিল ২৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৬৭ লাখ ডলার।

ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত চামড়া, চামড়ার তৈরি জুতা বা পাদুকা এবং চামড়াজাত পণ্য যেমন ব্যাগ, জ্যাকেট, হাতমোজা, ওয়ালেট, বেল্ট, মানিব্যাগ ইত্যাদি রফতানি হয়। এ তিন উপখাতের সবকটিতেই আয় কমেছে। এর মধ্যে প্রক্রিয়াজাত চামড়ায় ৩ কোটি ১০ লাখ ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম। একই সঙ্গে এই আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়েও ৩২ দশমিক ৪২ শতাংশ কম। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয় ছিল ৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার। চামড়াজাত পণ্যে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ দশমিক ৭০ শতাংশ কম। একই সঙ্গে আগের বছরের একই সময়ের চেয়েও ৬২ দশমিক ২৮ শতাংশ কম। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয় ছিল ৮ কোটি ৪১ লাখ ডলার। চামড়ার পাদুকায় ১০ কোটি ১২ লাখ ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি। তবে গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।

রফতানিকারকরা বলছেন, বিশ্বে চামড়াজাত পণ্যের বাজার ২২ হাজার কোটি ডলারের বেশি। এ বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব অনেক কম। আর এই ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা পরিবেশগত ক্ষতি ও নেতিবাচক শ্রম পরিবেশ। তবে সরকারের নীতিনির্ধারকরাও এর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সাভারের চামড়া পল্লীতে ট্যানারি স্থানান্তর করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close