নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ছাড়ছে অ্যালায়েন্স
রানা প্লাজা ধসের পর বিভিন্ন বিদেশি ক্রেতা সংগঠন নিয়ে গঠিত ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি’ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এ ঘোষণা দেন এলায়েন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জেমস এফ মরিয়ার্টি।
জেমস মরিয়ার্টি বলেন, এলায়েন্সসের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো অতীতের চেয়ে বর্তমানে অনেক নিরাপত্তা ফিরে এসেছে। এলায়েন্সের মতো তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান যেন বাংলাদেশে থাকতে পারে সেজন্য সরকারি বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করছেন তারা। এ বিষয়ে ফ্যাক্টরি মালিকদেরকেও বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, অ্যালায়েন্সের অধিভুক্ত কারখানাগুলোর শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া হিসেবে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে অ্যালায়েন্স কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হেল্পলাইন পোশাক শ্রমিকদের কারখানার জরুরি নিরাপত্তা সমস্যা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রের হয়রানি এবং মজুরি ক্ষতিপূরণ বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রিপোর্ট এবং বাস্তবায়ন ভিত্তিক সমস্যাগুলো সমাধানের সুযোগ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে বিনা খরচে হেল্পলাইন চালু করা আছে। হেল্পলাইন প্রতিষ্ঠিত করার পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি কারখানা থেকে মোট ২ লাখ ৩৩ হাজার এরও বেশি কল এসেছে। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ বাস্তবভিত্তিক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
কারখানা শ্রমিকদের সহযোগী সংগঠন ফুলকীর প্রতিষ্ঠাতা এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরাইয়া হক বলেন, বেতন না পাওয়া, কারখানায় বরফ বন্ধ হয়ে যাওয়া, আগুন লাগা, শ্রমিকদের মধ্যে মারামারি, সুপারভাইজারের অস্বাভাবিক আচরণসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার অভিযোগ হেল্প লাইনের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এর ৮০ শতাংশ সমস্যা মালিকদের জানানোর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সমাধান করা হয়। যে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা যায় না সেগুলো অ্যালায়েন্সের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। সংগঠনটির মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক খাতে নজরদারির মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন তারা। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দেশের পোশাক খাত ক্রমাগতভাবে এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত সদস্যরা।
"