নিজস্ব প্রতিবেদক
উৎপাদন বৃদ্ধিতে শ্রমিকদের হাসিখুশি রাখুন : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কলকারখানা ও কৃষিসহ জাতীয় উৎপাদন বাড়াতে হলে শ্রমিকদের হাসি খুশি ও প্রাণবন্ত রাখতে হবে। আর সেজন্য তাদের ন্যূনতম মজুরি ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
মহান মে দিবসের সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ জাসদ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা র্যালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশার সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, জাতীয় নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক কনক বর্মন, গার্মেন্ট শ্রমিক জোটের সভাপতি রোকেয়া সুলতানা আঞ্জু প্রমুখ।
হাসানুল হক ইনু বলেন, জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, ফতোয়াবাজ তেঁতুল হুজুররা শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে, নারী শ্রমিকদের ঘরে বন্দি করে রাখতে চায়। ন্যূনতম জাতীয় মজুরির দাবি আদায়ের সংগ্রামের পাশাপাশি এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধেও শ্রমিকদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শ্রমিক, মজুর, কর্মজীবী মেহনতি মানুষই উৎপাদন ও উন্নয়ন সভ্যতার মূল চালিকা শক্তি। বাজার ও মালিকের হাতে শ্রমিক ও দেশের ভাগ্য ছেড়ে না দিয়ে অর্থনীতিকে রাষ্ট্রীয় অন্যতম মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত সমাজতন্ত্রের পথে পরিচালিত করতে হবে বলে জানান তিনি।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক নেত্রী শিরীন আখতার বলেন, শ্রম কখনো সস্তা নয়, শ্রমিক দয়ার পাত্রও নয়। তিনি গার্মেন্ট শ্রমিকদের ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরিসহ অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি বোড ঘোষণার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে লাল পতাকা সজ্জিত একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
"