নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে ধসের কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ
দেশের পুঁজিবাজারে চলতি বছর লেনদেন ও সূচকের টানা দর পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে ভীতির সৃষ্টি হচ্ছে। এর কারণ অনুসন্ধানে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে জানা যায়, বাজারের অব্যাহত পতনে বিনিয়োগকারীদের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাও চিন্তিত। তাই বাজারে কোনো কারসাজি, অনিয়ম রয়েছে কিনা- তা জানতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত রোববার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর কমেছে ৮০.৩৫ শতাংশ বা ২৭০টির। এ সময় দর বেড়েছে ৪৯টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় ডিএসইতে ১৩ কোটি ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। অব্যাহত বিক্রয় চাপে এদিন ডিএসই’র সার্বিক লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। যদিও আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার অধিক লেনদেন হয়েছে। গত রোববার ডিএসইতে ৪৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এর আগে গত সপ্তাহের সর্বশেষ কার্যদিবসে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৫১২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিন শেষে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯৯.৪৩ পয়েন্ট। এ সময় ডিএসই’র প্রধান সূচক ৫৯৫০.৭৫ পয়েন্টে স্থিতি পায়। এ সময় শরিয়াভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্য সূচক কমেছে ১০.৭৯ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৩৭.৩৮ পয়েন্ট। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া ২২৭টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৭৮টির, দর বেড়েছে ৩৭টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৪টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় সিএসইতে ৩০ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
"