তারুণ্য ডেস্ক
সুন্দর তারুণ্যের জন্য কয়েকটি সহজ টিপস
তরুণদের জীবন এক জটিল ধাঁধার মতো। তারা কিছু করতে চায়। নিজেরা যেমন সুখী হতে চায়, ভালো থাকতে চায়, এর পাশাপাশি অন্যদের জন্যও থাকে তাদের এই প্রচেষ্টা। কিন্তু ভালো থাকার ব্যাপারটা এত সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন ব্যাপক প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়। চলুন, আজ আমরা তেমন কিছু উপায় জেনে নিই।
অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা : শুধু নিজে ভালো থাকলেই চলবে না, অন্যকেও ভালো রাখতে হবে। তাই আপনার চারপাশে বাবা-মা, ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন-সবার জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। দেখবেন, জীবন অনেক সহজ ও সুন্দর হয়ে গেছে। আপনার ভেতরে এক অন্য রকম তৃপ্তিময় আনন্দ অনুভব করবেন।
নিজের শরীরের যতœ নিন : প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০ মিনিট হাঁটুন। হাঁটার সময় মুখে মৃদু হাসি ধরে রাখুন। হতাশা নির্মূলে এর চেয়ে ভালো উপায় আর হয় না। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে গাছের এবং চাষকৃত খাবার বেশি গ্রহণ করুন। কারণ, এতে পুরোটাই পুষ্টি পাবেন।
শারীরিক অনুশীলন করুন : সুস্থ দেহ মানেই শান্ত ও সুখী মন। আর দেহ সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন দেহকে সচল ও কর্মক্ষম রাখা। নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করা ব্যক্তিদের মাঝে সুখের মাত্রা অনেক বেশি দেখা যায়।
পাঠের অভ্যাস করুন : বই মানুষের সবচেয়ে কাছের সঙ্গী। তাই বই পাঠের অভ্যাস করুন। প্রতিদিন খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। দেখবেন, ভেতরে এক ধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা পড়তে পারেন। এতে আপনার জীবন আরো বেশি সহজ হবে।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন : লক্ষ্যহীন জীবনে শান্তি থাকে না। তাই নিজের জীবনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সেই লক্ষ্যের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে চলুন। দেখবেন, মনের শান্তি অনেকখানি বেড়ে গেছে।
প্রতিদিন প্রার্থনা করুন : প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই সারাদিন চলার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে একটি দিকনির্দেশনা প্রার্থনা করুন। এতে নিজের ওপর বিশ্বাসটা জোরালো হবে। দেখবেন, আপনি চাইলেও ভুল পথে পা বাড়াতে পারছেন না। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিন। জীবনে যা কিছু পেয়েছেন, তার জন্য এবং প্রার্থনা করুন আগামী দিনটির জন্য।
ইতিবাচক কাজ করুন : আপনার মূল্যবান সময়কে অহেতুক আড্ডা, নেতিবাচক ও অতীত চিন্তা অথবা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরের চিন্তা-ভাবনায় নষ্ট করবেন না।
বরং ইতিবাচক বর্তমান চিন্তায় নিয়োগ করে ভবিষ্যৎ
সুনিশ্চিত করুন।
কাজের অর্থ অনুসন্ধান করুন : জীবিকার জন্য আপনি যে কাজটাই করেন না কেন, সেই কাজটাকে অর্থবহ করে তোলা প্রয়োজন। কাজের একটি অর্জনের দিকে মনোযোগী হওয়া যেতে পারে, যা কাজকে করে তুলবে আনন্দময়।
"