জাকির উসমান

  ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

৪০ বছরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের গলি’ নামে পরিচিতিও আছে গলিটার। বাংলামোটরের প্রধান সড়কের পাশেই এই গলির মুখে সাইনবোর্ড ঝোলানো। তাতে কালচে রঙের উপর হলুদ হরফে ফুটে থাকে এই লেখাটিÑ ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’। গলি ধরে এগোলেই হাতের ডানে লাল ইটের ভেতর দাঁড়িয়ে আছে সাতান্ন হাজার বর্গফুটের নয় তলা একটি ভবন। এই শহরে রোজ কতো মানুষ এই গলির পাশ দিয়েই সড়ক ধরে যাতায়াত করে। তবু এই লাল ইটের নেপথ্যের গল্পটি বেশির ভাগ মানুষেরই অজানা। সায়ীদ স্যার জার্নালে লিখেছেন : ‘কেন্দ্রের ভবনের ইটের দেয়ালগুলোকে আমরা কোনোদিন প্লাস্টার করব না। এই কেন্দ্র যে একদিন আমাদের রক্ত দিয়ে তৈরি হয়েছিলÑ এই ইটগুলো তার সাক্ষী হয়ে থাক।’

বাইর

সময়টা উনিশ শো আটাত্তর সালের জুলাই বা আগস্টের এক সন্ধ্যা। স্থান ঢাকার সেগুনবাগিচার কোনও এক বাসা। সেদিন কথায় কথায় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একটি স্বপ্নের কথা উচ্চারণ করেছিলেন। তার কথায় একধরনের সর্বাঙ্গসুন্দর মানুষ তৈরির কথা ছিল। মানুষকে বই পড়াতে চেয়েছিলেন। সাহিত্য দর্শন এইসব বিষয়ের দিকে উদ্বুদ্ধ করার কথা বলেছিলেন। সে স্বপ্নই কিছুকালের ভেতর পনেরো জন সভ্য নিয়ে ঢাকা কলেজের পেছনে তখনকার শিক্ষা সম্প্রসারণ কেন্দ্রের (এখন যেটা ‘নায়েম’) ছোট্ট কক্ষে যাত্রা শুরু করেছিল। প্রতি সপ্তাহের জন্য একটি বই নির্ধারণ করা হতো। সভ্যরা বই বাড়ি নিয়ে যেতেন। পড়ে এসে পরের সপ্তাহের একই দিনে বইটি নিয়ে মিলিত হতেন অন্তরঙ্গ আলোচনায়। আজকের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পনেরো জনের সে পাঠচক্রেরই ছাইভষ্ম থেকে গড়ে ওঠা এক মহীরুহ-প্রতিষ্ঠান। সাতষট্টি বছরের প্রবীণ ছাত্র এবং রেডিওর সাবেক মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান খান তখন পঁয়ত্রিশ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন, এটিই ছিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রথম অর্থসংগ্রহ। এরপর তিরাশি সালের জুনে কেন্দ্র ইন্দিরা রোডে ভবন ভাড়া নিয়ে কিছুকাল চলার পর সে বছরের সেপ্টেম্বরে এলো বাংলামোটরের ঠিকানায়। গেল ডিসেম্বরে জ্ঞানের এই বাতিঘর পা দিয়েছে

৪০ বছরে।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তার ‘সংগঠন ও বাঙালি’ বইয়ে লিখেছেন : ‘সংগঠন হল জীবনের উপর মানুষের বিজয়ের প্রতিষ্ঠা; তার উচ্চতর জীবন ও সমৃদ্ধির সন্ধান।’ এই জীবন আর সমৃদ্ধির সন্ধানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র একটু একটু করে বড় হয়েছে। দেশব্যাপী ছড়িয়েছে এর বহুমাত্রিক ও বহুরৈখিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। একটি সুদীর্ঘ সময় পার করে আজ একটি মাহেন্দ্রক্ষণের সামনে দাঁড়িয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। একটি অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করছে এই প্রতিষ্ঠান।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাফল্য হয়তো আপাত চোখে ধরা পড়বে না। কিন্তু একটি উচ্চতর মূল্যবোধসম্পন্ন, চিন্তায় ও মননে সমৃদ্ধ, সৎ ও জ্ঞানের পিপাসায় আর্ত নিরন্তর উদ্যমী মানুষের প্লাটফর্ম ঠিকই গড়ে উঠেছে দেশের নানা অঙ্গনে, নানা জায়গায়Ñ যারা কর্মে-তথ্যে-মননে ও স্বপ্নের পথে অনলস, অবিশ্রান্ত ও ঋদ্ধ। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের লক্ষ্য এক কথায় বোঝা ও বোঝানো যেমন মুশকিল, তেমনি অল্প সময়ে এর সঠিক উদ্দেশ্যটি উপলব্ধি করতে পারাও দুরূহ। সায়ীদ স্যারের ভাষায় : ‘আমাদের কর্মসূচিগুলোর ভেতর দিয়ে সারাদেশে কিশোর-তরুণদের ভেতর আজ ধীর নিঃশব্দে যে অমেয় চেতনার বিকাশ ঘটে চলেছে, আজ থেকে পঁচিশ, পঁয়ত্রিশ বা পঞ্চাশ বছর পর সেই চেতনা তাদের নানান কর্মযজ্ঞের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত হয়ে সম্পন্নতর একটা বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে, কী করে এ কথা একজন সাধারণ মানুষকে বোঝানো সম্ভব?’ চল্লিশ বছর পার করে সত্যিই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আজ এরকম একটি জায়গার কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে নিঃশব্দে। কেন্দ্র চেয়েছে মনুষ্যত্বের বিকাশ। হৃদয়ের উৎকর্ষ-অলা শ্রেষ্ঠতর, পূর্ণতর ও সম্পন্ন মানুষ। সেই পনেরো জন থেকে সারাদেশের পনেরো লক্ষের বেশি প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন, আলোকিত, উদ্দীপিত, সক্রিয় ও সংশপ্তক মানুষ গড়ার মুখর তৎপরতা বয়ে চলেছে আজও। আলোকের এই অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

১৯৭৮-২০১৯; চল্লিশ বছর পেরিয়েছে মানুষের স্বপ্নের সমান বড় এই প্রতিষ্ঠান। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মনে করেÑ ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কোনো গৎ-বাঁধা, ছক-কাটা, প্রাণহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি সপ্রাণ সজীব পরিবেশ-জ্ঞান ও জীবনসংগ্রামের ভেতর দিয়ে পূর্ণতর মনুষ্যত্বে ও উন্নততর আনন্দে জেগে ওঠার এক অবারিত পৃথিবী। এক কথায়, যারা সংস্কৃতিবান, কার্যকর, ঋদ্ধ মানুষÑ যারা অনুসন্ধিৎসু, সৌন্দর্যপ্রবণ, সত্যান্বেষী; যারা জ্ঞানার্থী, সক্রিয়, সৃজনশীল ও মানবকল্যাণে সংশপ্তকÑ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তাদের পদপাতে, মানসবাণিজ্যে, বন্ধুতায়, উষ্ণতায় সচকিত একটি অঙ্গন।’

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র একটা সাঁকো। আরেকটু আলোকিত হতে চাওয়া, আরেকটু ভালো হতে চাওয়া, আরেকটু সৎ জীবনযাপন করতে চাওয়া মানুষদের ভেতর মেলবন্ধন তৈরি করে দেয় এই প্রতিষ্ঠান। সকল ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় ও মত-পথের মানুষের ভেতর একটি যূথবদ্ধ শক্তি ও সহযোগিতার নীতিতে বিশ্বাসী এই সংগঠন। কেন্দ্র কোনও প্রাণহীন, কৃত্রিম ও গতানুগতিক প্রতিষ্ঠান নয়। আর দশটা সংগঠনের মতো কোনও সংঘও নয় এটি। সায়ীদ স্যার এক লেখায় বলেছেন : ‘আমাদের দলের সভ্যরা হবে সমমনের কিন্তু কিছুতেই সমমতের নয়। এখানেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সঙ্গে একটা রাজনৈতিক বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য। ওইসব প্রতিষ্ঠানের মূলে আছে একটা অভিন্ন বিশ্বাসের ভিত্তিÑ সমস্ত মানুষ সেই বিশ্বাসের একক ধারা-প্রবাহে নতজানু। কিন্তু আমাদের শক্তিমান মতপার্থক্যই আমাদের শক্তি। আমরা কিছুতেই একে অন্যের প্রতিকৃতি নই। এই উজ্জ্বলিত আত্মবিশ্বাসই হাজার হাজার প্রদীপের মতো আমাদের প্রত্যেককে শবেবরাতের রাতের বিপুল উৎসব সভায় আলোকিত করে রাখে।’ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কোনও মতাদর্শ নেই। কেন্দ্র কাউকে কোনও মতাদর্শে দীক্ষিতও করে না। এক বক্তৃতায় স্যার বলেছিলেন : ‘কেন্দ্রের যদি কোনও মতাদর্শ থেকে থাকে, তাহলে সেটা একটাইÑ মনুষ্যত্বের সমৃদ্ধি।’

ভেতর

বহুমাত্রিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তার লক্ষ্যের পথে এগিয়ে চলেছে। ১৯৮৪ সালে শুরু হয়েছিল ‘দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম’। এতে স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বইপড়ার ব্যবস্থা করা হয়। লক্ষ্য এই বয়সের শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ও উৎকর্ষ।

আরেকটু বিস্তৃত পরিসরে স্কুলের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ২০১০-এ শুরু হয়েছে ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য : ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাধীনতা, দেশ ও কৃষ্টি, সাহিত্য-সংস্কৃতির বিষয়ে কিশোর উপযোগী সুখপাঠ্য মননশীল বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা; যা তাদের সুস্থ মানসিকতার বিকাশ ঘটাবে এবং শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনে

সহায়ক হবে।’

১৯৯৯ সালে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীÑ এই চারটি মাত্র শহরে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কর্মযজ্ঞ। ভালো লাইব্রেরির অভাব ঘোচাতে চালু হওয়া ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি এখন পুরো দেশজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া দুই লক্ষ বইয়ের বিশাল সংগ্রহ নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মূল ভবনে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার।

২০১৩ সালে শুরু হয়েছে নতুন কর্মসূচি ‘আলোর ইশকুল’। এর পরিচিতি সম্পর্কে বলা হয়েছে : ‘যখন আমরা ‘আলোকিত মানুষ’ কথাটা বলি তখন সেই মানুষদের স্বপ্নই হয়তো দেখি, যাদের হৃদয়, রেনেসাঁ-মানবদের মতোই, জগতের বহুবিচিত্র জ্ঞান ও বোধের আলোয় প্রজ্বলিত-সেইসব মানুষ যারা মানবজ্ঞানের নানান শাখার সোনালি স্পর্শে, ঐশ্বর্যে ও সৌন্দর্যে কমবেশি দীপান্বিত ও কান্তিমান। এমনি বহুজ্ঞানঋদ্ধ, বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ও বহুমাত্রিক মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কেন্দ্র শুরু করেছে নতুন কর্মসূচি ‘আলোর ইশকুল’।’ আলোর ইশকুলে বহু বিচিত্র বিষয় নিয়ে অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় হলো : বিশ্বসাহিত্য পাঠচক্র, উপমহাদেশীয় ধ্রুপদী নৃত্য, দর্শন চক্র, বাঙালির ইতিহাস [বাঙালির সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন আন্দোলন ও বিপ্লব], গাছ, ফুল ও নিসর্গ পরিচিতি, চলচ্চিত্র চক্র, ভ্রমণ কর্মসূচি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তৃতা ও মুক্ত আলোচনা, চিত্রকলা রসাস্বাদন চক্র [আর্ট অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স], বিচিত্র বিষয়ের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, বিশ্ব ইতিহাস পাঠচক্র ও আবৃত্তি সংঘ প্রভৃতি।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রকাশনা বিভাগের বাছাই বই প্রকাশের সুনাম রয়েছে। ইতোমধ্যে এই বিভাগ থেকে ৪ শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা বিভাগ বাংলাভাষার শ্রেষ্ঠ বইগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের ভাষা ও সাহিত্যের সেরা বইগুলো প্রকাশ করছে। প্রকাশনা বিভাগের অন্যতম বৃহৎ একটি কর্মতৎপরতা হলো ‘বাঙালির চিন্তা কর্মসূচি’। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের আওতায় গত দুশো বছর ধরে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ মনীষীরা শিক্ষা, ধর্ম, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, দর্শন, শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজ ইত্যাদি বিষয়ে যেসব মৌলিক চিন্তা করেছেন সেগুলোকে ব্যাপকভাবে সংগ্রহ ও বাছাই করে প্রতিটি বিষয়ের শ্রেষ্ঠ রচনাসম্ভারকে বহু খ-ে প্রকাশ করার আয়োজন হলো এই প্রকল্প। ২০০ খ-ে প্রায় ৬৮,০০০ পৃষ্ঠার ব্যাপ্তি নিয়ে এই মহাগ্রন্থমালা প্রকাশের অপেক্ষায়।

সর্বোপরি নানাভাবে, নানা মাধ্যমে বিশ্বাসাহিত্য কেন্দ্র পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বইগুলো পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করেছে। উৎসুক ও অনুসন্ধিৎসু ছেলেমেয়েদের এই ধরনের শ্রেষ্ঠ বইগুলো পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এর বাইরে শ্রবণ-দর্শন বিভাগ, অনুষ্ঠান বিভাগ, অনলাইনে বইপড়া কর্মসূচি ‘আলোর পাঠশালা’, প্রাথমিক শিক্ষকদের বইপড়া কর্মসূচি, বক্তৃতা, চলচ্চিত্র, সংগীত, ভ্রমণ ও আরও নানা রকম সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক কর্মসূচির ভেতর দিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র জাতির সমৃদ্ধ মনন গঠনে অপরিসীম ভূমিকা রাখছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে ইউনেস্কোর সবচেয়ে সম্মানসূচক পদক ‘জ্যান অ্যামোস কমিনিয়াস পদক’। ছাত্রছাত্রী ও জনসাধারণের মধ্যে বইপড়ার আগ্রহ সৃষ্টিতে চমকপ্রদ পদ্ধতি, অবদান ও অর্জনের স্বীকৃতি হিশেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ২০০৮ সালে এই পদক লাভ করে।

২০০৪ সালে এশিয়ার নোবেল খ্যাত ‘রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার’ পান আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ও বাংলাদেশের নবীন প্রজন্মকে বিশ্বের ও বাংলাসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার মাধ্যমে তাদের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্যে সায়ীদ স্যারকে দেওয়া হয় এই পুরস্কার।

আরেকটু

‘আমার অনুভূতিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’ বইয়ে সায়ীদ স্যার লিখেছেন, ‘আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এথেন্সে পেরিক্লিসের আমলে যুবকদের আঠারো বছরে পদার্পণ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে একটি শপথ বাক্য উচ্চারণ করতে হত। সবার সামনে দাঁড়িয়ে তাদের বলতে হত, আমি সারাজীবন এমন কিছু করে যাব যাতে জন্মের সময় আমি যে এথেন্সকে পেয়েছিলাম মৃত্যুর আগে তার চেয়ে উন্নততর এথেন্সকে আমি পৃথিবীর বুকে রেখে যেতে পারি। আমাদের চেষ্টাও তেমনি এক উন্নততর বাংলাদেশেরই জন্যে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close