আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হামজা বিন লাদেন আল কায়েদার নতুন কান্ডারি
নাইন ইলেভেনে আমেরিকার টুইন টাওয়ারে সেই হামলার ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ছবি প্রকাশ করেছে আল কায়েদা। সেই ছবিতে টুইন টাওয়ারের লেলিহান আগুনের শিখায় ওসামা বিন লাদেনের ছবি ভেসে রয়েছে দেখানো হয়। আর সে ছবির পাশেই রয়েছে তার ছেলে হামজা বিন লাদেনের ছবি, যাকে ‘জিহাদের রাজপুত্র’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। সূত্র ডন।
এই তরুণ এখন ২৮-এর কোঠায়। বাবার তৈরি সেই সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তার পরিচয় সেই শৈশব থেকেই। এখন বিশ্লেষকরা ভাবছেন, ওসামার এই ছেলেটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের ঐক্যবদ্ধ করবেন। বিশেষ করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের শক্তিমত্তায় যে ভাটা চলছে, সে সুযোগটাই নিতে চাইছে আল কায়েদা।
কমব্যাট টেরোরিজম সেন্টারের (সিটিসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এফবিআইয়ের সাবেক স্পেশাল এজেন্ট এবং আল কায়েদা বিশেষজ্ঞ আলি সৌফান লিখেছেন, বিশের কোঠা পার করছেন হামজা। বাবার গড়ে তোলা সংগঠনের নেতৃত্বের হাল ধরতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছেলে। বিন লাদেন সা¤্রাজ্যের একজন সদস্য হিসেবে হামজাকে আল কায়েদার মিলিটারি সাদরে গ্রহণ করে নেবে। আইএসের পতনের এই ক্ষণে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসীদের এক করতে হামজাকেই সেরা ব্যক্তিত্ব বলে মনে করছেন অনেকেই।
বিন লাদেনের ২০ সন্তানের মধ্যে ১৫তম হামজা। তিনি ওসামার তৃতীয় স্ত্রীর ঘরের ছেলে। শৈশব থেকেই তিনি বাবার পদচারণা অনুসরণ করে আসছেন। নাইন ইলেভেনের আগে আফগানিস্তানে তিনি বাবার সঙ্গেই ছিলেন। আমেরিকান, ইহুদি আর ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে কচি কণ্ঠে কথা বলতেন তখন। সেই ভিডিও তুলতেন অনলাইনে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আর পেন্টাগনে হামলার প্রাক্কালে হামজাকে তার বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। আর কখনো দেখা হয়নি তাদের। লাদেন বংশের স্ত্রী এবং অন্য সন্তানদের সঙ্গে তিনি আফগানিস্তানের জালালাবাদ এবং সেখান থেকে ইরানে নিরাপদে অবস্থান করেন।
"