স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো সমস্যা নেই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে মন্ত্রণালয় প্রশাসনিকভাবে কোনো কাজের ব্যাখ্যা চাইতেই পারে। এটি সরকারি কাজের একটি অংশ।’

‘জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালে অনৈতিক কর্মকান্ড কতটুকু হয়েছেÑ তা সরকার খতিয়ে দেখছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের কঠোর বিচার করতে হবে এবং তাদের প্রশ্রয়দানকারীদের বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে’, যোগ করেন জাহিদ মালেক।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধিদফতরের কোনো সমস্যা চলছে কিনাÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘অধিদফতরের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো সমস্যা নেই। দুটিই সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। দুটি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে কোভিড-১৯-এর দুর্যোগ মোকাবিলায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’

জাহিদ মালেক আরো বলেন, ‘জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে মন্ত্রণালয় থেকে অধিদফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি সরকারের প্রশাসনিক ও দাফতরিক কাজের একটি অংশমাত্র। মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সমস্যার কোনো ব্যাপার এটি নয়।’

মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে কথোপকথন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠকে সচিবদের দেশের সব ক্লিনিক ও হাসপাতালে সাধারণ মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, কোনো ক্লিনিক ও হাসপাতালে অনৈতিক কোনো কর্মকান্ড হলে তার বিরুদ্ধে দ্রুততার সঙ্গে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।

"