বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

  ০৮ নভেম্বর, ২০১৯

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামের দাউদ মোল্যাকে রাজাকার দাবি করে তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার চতুল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। এলাকাবাসীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ নাগরিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘দাউদ মোল্যা মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দোসর হিসেবে কাজ করেছে। তার মতো ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হওয়া আমাদের জন্য লজ্জাজনক। দাউদ মোল্যা রাজাকার হিসেবে এলাকার সংখ্যালঘু পরিবারের অনেকের ঘরবাড়ি লুটপাট করেছে।’ সম্প্রতি তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ স্থগিত করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

দাউদ মোল্যাকে মুক্তিযোদ্ধার চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান সিরাজুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দাউদ মোল্যার চাচাতো ভাই খলিল মোল্যা বলেন, তার ভাই দাউদ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।

এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চতুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান, সহসভাপতি খন্দকার আবুল বাশার, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি খন্দকার মোজাফফর, সাধারণ সম্পাদক মির্জা শামচুজ্জামান বেগ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল মোল্যা ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ।

এ ব্যাপারে দাউদ মোল্যা বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় বোয়ালমারী উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নওয়াব উদ্দিন আহমেদ টোকনের অধীনে হাসামদিয়া সুপারি বাগানে ট্রেনিং করি। আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১৯৮৪ সালে তার নাম লাল তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৩ সাল থেকে তিনি নিয়মিত ভাতা পেয়ে আসছেন। সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে আমার নাম ‘গ’ তালিকাভুক্ত করা হয়। আমি ‘গ’ তালিকা ভুক্ত হওয়ার কারণ জানার জন্য আবেদনও করেছি। ২০১৯ সালের আগস্ট মাস থেকে আমার ভাতা স্থগিত করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close