নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ নভেম্বর, ২০১৮

শ্রিংলার সাক্ষাৎ

সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় ভারত : বিকল্পধারা

ভারত বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতীক্ষা করছে যাতে বাংলাদেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দমতো লোককে নির্বাচিত করে একটি ভালো সরকার গঠন করে এটাই ভারত চায়। গতকাল সোমবার বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাড়িতে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান বিকেলে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর মান্নান। মেজর মান্নান বলেন, ভারত অত্যন্ত বন্ধু রাষ্ট্র, তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যামান। আমরা চাই যেন নির্বাচনের পরও আমাদের এই সম্পর্ক থাকে। আপনারা জানেন ভারতের সঙ্গে ভিসাসহ যেসব সমস্যা ছিল তা উন্নতি হয়েছে। আমরা নির্বাচনের প্রাক্কালে চেয়েছিলাম ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বজায় থাকে এবং আরো উন্নতি হয়। এসব কিছু নিয়েই আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।

নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল বিষয়টি যদিও নির্বাচন ছিল না তবুও যেহেতু আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি সেহেতু নির্বাচন নিয়ে তো আলোচনা চলেই আসে। আমাদের মূল আলোচনা ছিল ভারত ও বাংলাদেশের সুসম্পর্ক নিয়ে। আগামী নির্বাচনেও আমরা চাচ্ছি যেহেতু ভারত একটি বড় প্রতিবেশী দেশ তাদের আমাদের সাহায্য প্রয়োজন। সেখানে কিছুটা আলোচনা চলে আসছে। নির্বাচন নিয়ে তারা কি বলেছেন, জবাবে মান্নান বলেন, ভারত কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। আপনাদের দল সম্পর্কে তিনি কি জানতে চেয়েছেন এ ব্যাপারে আপনারা কি বলেছেন, জবাবে মান্নান বলেন, আপনারা জানেন বিকল্পধারা ১৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত একটি দল। আমরা দুটি বড় জোট ২০ দল ও ১৪ দলের মাঝামাঝি ছিলাম। গত ১৪ বছর ধরে আমরা জনগণের পক্ষে ছিলাম। দুই জোটের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ছিল সুসম্পর্ক ছিল। দুই দলকেই আমরা সাহায্য করতে চেয়েছিলাম এবং করে আসছি। সুতরাং আমাদের সে অবস্থাটাই আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি।

এ সময় শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, আপনার প্রশ্নে জানতে চেয়েছেন ভারত আমাদের আউটলুক জানতে চেয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা বলেছি, আমরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা বিকল্পধারা বাংলাদেশ এবং যুক্তফ্রন্ট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। এটার ধারাবাহিকতা আমরা বজায় রাখতে চাই।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী তার নিজের ও দলের পক্ষ থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আগামীতে ভারতের সঙ্গে পিপল টু পিপল কন্ট্রাক্ট থাকবে। এটা পরিষ্কারভাবে বলেছি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে পিপল টু পিপল কন্ট্রাক্ট হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলিমেন্ট। যেহেতু ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী, তাদের দেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের জনগণের সম্পর্কটা আরো সুদৃঢ় হবে। সেটা কিভাবে হবে সেই প্রস্তাবগুলো আমরা তুলে ধরেছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close