নিজস্ব প্রতিবেদক
বন্যার কবলে ৯ জেলা, প্রস্তুতি ছিল : ত্রাণমন্ত্রী
উজানে বৃষ্টি আর ঢলে দেশের ৯ জেলা বন্যার কবলে পড়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলির (এসওডি) হালনাগাদ খসড়া এবং বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
বন্যা মোকাবিলায় এবার আগাম প্রস্তুতি ছিল জানিয়ে মায়া বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত যে সেই ধরনের বন্যা আমাদের মোকাবিলা করতে হয়নি, ৯টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। তিনি জানান, বন্যায় মৌলভীবাজার ও নীলফামারীতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলাও বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র করলেও সেখানে বেশি লোক যায়নি। মৌলভীবাজারে তিন থেকে পাঁচ দিন পানি থাকলেও আমাদের সকলের তৎপরতায় কোনো সমস্যা হয়নি।
আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বন্যা হতে পারে এমন ৩৫টি জেলায় ৭৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে বলে জানান ত্রাণমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৬৪ জেলায় এক কোটি ১২ লাখ টাকা ও সাড়ে পাঁচ হাজার টন জিআর চাল দেওয়া হয়েছে। বন্যার যাদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে তা মেরামত ও নতুন ঘর তৈরির জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ৫০ হাজার বান্ডিল টিন ও ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর এক হাজার টন চাল ও দুই কোটি টাকা হাতে রেখেছে, চাহিদা পেলেই পাঠানো হবে। এর বাইরে প্রত্যেক জেলায় ১৫০ থেকে ২০০ টন করে চাল এবং তিন থেকে পাঁচ লাখ করে টাকা থোক বরাদ্দ হিসেবে রয়েছে বলে জানান ত্রাণমন্ত্রী। পাহাড় ধসে প্রাণহানি নিয়ে এক প্রশ্নে মায়া বলেন, ওখানকার লোকজন বাড়ি থেকে সরতে চায় না। দুর্যোগের সময় জেলা প্রশাসন মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে বলেন। অনেক সময় জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনলেও অনেকে পালিয়ে যায়। এখন অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আমরা তাদের পুনর্বাসন করছি। আশা করি এই কষ্ট বেশি দিন থাকবে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল, সমাজকল্যাণ সচিব জিল্লার রহমান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
"