মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, সিলেট
ক্লিনিক্যাল বর্জ্যে সয়লাব সিলেট নগরের ডাস্টবিন
সিলেট নগরীতে ক্লিনিক্যাল বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে না ফেলে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। নগরীর রাস্তার পাশে স্থাপিত সিটি কর্পোরেশনের ডাস্টবিনে সাধারণ ব্যবহার্য ময়লা ফেলার নিয়ম থাকলেও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো তা মানছে না। হরহামেশাই ডাস্টবিনগুলোতে ক্লিনিক্যাল বর্জ পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে বর্জ্য অপসারণে বেগ পেতে হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই বর্জ্যের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু। হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতোপূর্বে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্ব নেয়ার পর নগরীর হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেন। এর পর থেকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিমিয়ে ৩টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ৪২টি ক্লিনিকের বর্জ্য অপসারনের দায়িত্ব নেয় সিসিক। নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ ডাস্টবিন ক্লিনিক্যাল বর্জ্যে সয়লাব। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা না ভেবেই সেখান থেকে বর্জ্য তুলে নিচ্ছে ছিন্নমুল নারী-পুুরুষ ও শিশুরা। সাধারণ বর্জ্য ও ক্লিনিক্যাল বর্জ্যের তফাত তাদের জানা নেই। নগরীর তালতলা পয়েন্টের বিভিন্ন ডাস্টবিন থেকে ময়লা কুড়িয়ে নিচ্ছিলেন এক নারী। নাম জিজ্ঞেস করাতেই এড়িয়ে যান তিনি। প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, এই রকম বর্জ্য প্রতিনিয়তই তারা রাস্তার পাশের ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে নেন। নগরীর আরও অনেকগুলো ডাস্টবিনেও নাকি এইরকম ক্লিনিকেল বর্জ্য পাওয়া যায় বলে জানান এই নারী। সিলেট সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায় বলেন, ক্লিনিক্যাল বর্জ্যগুলো সাধারণ ডাস্টবিনে ফেলা খুবই বিপদজনক। এগুলোর কারনে বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়াতে পারে। তিনি বলেন, ক্লিনিকেল বর্জ্যগুলো সঠিক ভাবে ডিস্পোজ না করতে পারলে এটা আধুনিকায়নের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এর কারনে বায়ুদূষিত, পানিবাহিত বিভিন্ন রকমের রোগব্যাধী ছড়িয়ে মহামারি আকার ধারন করতে পারে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সঠিকভাবে এসব ক্লিনিক্যাল বর্জ্য ডিস্পোজ করার জন্য কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জনগনকেও সচেতন করতে হবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজ বলেন, মেডিকেল বর্জ্য অপসারনে সচেতনা বিষয়ে কয়েকদিন আগেই আমরা একটি সেমিনার করেছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যত্রতত্র বিভিন্ন জায়গায় এসব ক্লিনিকেল ময়লা ফেলে রাখে। এদেরকে সচেতন করা দরকার পাশাপাশি ট্রেইনআপ করা দরকার। তিনি বলেন, মেডিকেলের বর্জ্য অপসারনে তেমন ট্রেইনড না হওয়ার কারনে সমস্যাটা হচ্ছে। এসব বর্জ্য অপসারনের জন্য আমরা অটোক্লেব স্থাপনের জন্য কাজ করছি। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে একটি টিম এসে সিলেটের সকল ক্লিনিক এর তালিকা নিয়ে গেছে। অটোক্লেব হয়ে গেলে যারা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
"