সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সাংবাদিকদের ব্যঙ্গকারী অবশেষে কারাগারে
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় সাংবাদিকদের তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলার আসামী মোস্তাফিজুর রহমান খান ওরফে মুকুলকে (৩০) অবশেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন নিগারের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন। মুকুল উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর গ্রামের মৃত জামান মাতাব্বরের পুত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,‘সিংগাইরে পল্লী বিদ্যুৎ দেয়ার নামে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ’-শিরোনামে গত ১১ এপ্রিল একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের একটি অংশে মুকুলের বিরুদ্ধে দু’লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর প্রশাসনসহ সর্বস্তরে তোলপাড় শুরু হয়। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্দেশে (আরইবি) ওই অভিযোগের তদন্ত হয়। এতে অভিযুক্ত মুকুল ও তার সহযোগীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৩ এপ্রিল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিংগাইর প্রেসক্লাব সভাপতি, সংবাদ প্রতিনিধি কোহিনূর ইসলাম রাব্বি, সাধারন সম্পাদক দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি মাসুম বাদশাহ, কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক নয়াদিগন্ত সংবাদদাতা মোঃ সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে অশ্লীল ব্যঙ্গচিত্র ও হুমকি ধামকিসহ বিভিন্ন কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেয়। এ ঘটনায় কোহিনূর ইসলাম রাব্বি বাদী হয়ে মুকুলসহ অজ্ঞাত সহযোগীদের আসামী করে গত ১৮ এপ্রিল সিংগাইর থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন।
"