নড়াইল প্রতিনিধি
ঈদযাত্রায় ভোগান্তি
খানাখন্দ ও কাদায় ভরা নড়াইলের সড়ক
নড়াইলের বিভিন্ন পাকা সড়কে পিচ, পাথর, খোয়া ও বালি উঠে ভেঙে খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় বর্ষার পানি জমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। একদিন বৃষ্টি হলে প্রায় এক সপ্তাহ পানি জমে থাকে। বেশির ভাগ সড়কের দুপাশে প্রয়োজনীয় জায়গা না থাকলেও সড়কের পার্শ্বে ইট, বালি, বাঁশ, গাছের গুঁড়ি, ইটভাটার কাদা-মাটির কারণে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব বেহাল অবস্থায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ১৭০ কিলোমিটার, এলজিইডির ৪৫২ কিলোমিটার এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের (এলজিইডি) দুই হাজার ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে এলজিইডির অধীনে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের রাস্তাগুলোর অবস্থা সবচেয়ে করুণ।
কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নড়াইল-গোবরা-ফুলতলা সড়কের বিড়গ্রাম বটতলা, গোবরা কলেজ ও বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। প্রায় চার বছর ধরে এ অবস্থা। একদিন বৃষ্টি হলে সড়কের ভাঙা অংশে সপ্তাহখানেক পানি জমে থাকে।
বাসচালক মুরাদ হোসেনসহ বাস, ট্রাক, কার ও মাইক্রোবাসের কয়েকজন চালক জানান, নড়াইল-কালনা-ঢাকা, নড়াইল-যশোর, নড়াইল-মাগুরা, নড়াইল-যশোর, নড়াইল-মাগুরা, নড়াইল-যশোর, নড়াইল-মাগুরা, নড়াইল-যশোর, নড়াইল-মাগুরা, নড়াইল-তুলারামপুর-মাইজপাড়া, তেরখাদা-বড়নাল-কালিয়া সড়কের পাশে প্রয়োজনীয় মাটি এবং জায়গা না থাকায় দুটি যানবাহন পাশ কাটতে গেলে খাদে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। গত ১২ জানুয়ারি নড়াইল-মাগুরা সড়কের ধোন্দা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস পাশ কাটানোর সময় গর্তে পড়ে দুই যাত্রী নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হন।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) জেলা সভাপতি সৈয়দ খায়রুল আলম জানান, নড়াইল-কালনা মহাসড়কের গা ঘেঁষে পাঁচটি, লোহাগড়ার এড়েন্দা-আমাদা-লুটিয়া সড়কে দুটি এবং নড়াইল-কালিয়া সড়কের আউড়িয়ায় দুটি ইটভাটার মাটি পাহাড়ের মতো স্তূপ করে রাখা হয়েছে। মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ তিন চাকার গাড়ি ভাটার কাছে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হয়। গত দুই বছরে ভাটা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নড়াইল জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসম্পাদক ছাদেক আহম্মেদ খান বলেন, নড়াইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১৭০ কিলোমিটার পাঁকা রাস্তার মধ্যে ৭৫ ভাগ সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ঈদ উপলক্ষে সড়কে চলাচলকারি যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছায়েদ বলেন, বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে সড়কগুলো সংস্কার করা হবে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশ দাবি করে বলেন, জেলার সড়ক-মহাসড়কগুলোর অবস্থা ভালো। তেমন কোনো সমস্যা নেই।
"