জয়পুরহাট প্রতিনিধি
বেড়েই চলেছে চালের দাম বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
বেড়েই চলেছে জয়পুরহাটে চালের দাম। নতুন বোরো চাল বাজারে এলেও প্রভাব পড়ছে না দামে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরবরাহ কম থাকায় এবং ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। ধানের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে চালের দাম কমবে। দাম বৃদ্ধিতে হতাশ নি¤œ আয়ের মানুষ।
গত শনিবার জয়পুরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন চালের বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি মোটা চাল বিআর-১৬ ৪১-৪২, বিআর-২৮ ৪৩-৪৫, জিরাশাইল ৪৬-৪৮, কাটারীভোগ ৪৮-৫০ এবং মোটা হাইব্রিড চাল ৩৭-৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে এসব চাল কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৬ টাকা কম ছিল। এমনিতেই রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম চড়া। তার ওপর ভরা বোরো মৌসুমে চালের দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির চাল ক্রেতারা।
পূর্ব বাজারে চাল কিনতে আসা দিনমজুর দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বছর বোরো বা আমন মৌসুমের শুরুতে সাধারণত চালের দাম কম থাকে। এবার হয়েছে উল্টোটা; বোরোর ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়েই চলেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।’
আমতলী বাজারের মেসার্স রানা চালঘরের পাইকারি চাল বিক্রেতা রানা চৌধুরী বলেন, ‘মিলমালিকদের কাছ থেকে চাল কিনে বাজারে বিক্রি করি। বেশি দামে কিনতে হয়, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে অল্প পুঁজি খাটিয়ে যে পরিমাণ লাভ হতো, এখন অতিরিক্ত পুঁজি খাটাতে হচ্ছে সেই পরিমাণ লাভ করতে। ভরা মৌসুমে চালের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়া ৩০ বছরের চাল বিক্রির অভিজ্ঞতায় দেখিনি।’
মাছুয়া বাজারের বিসমিল্লাহ চালঘরের স্বত্বাধিকারী মিন্টু মিয়া জানান, প্রতি বস্তা চাল মিল থেকে ২০০-৩০০ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মিলমালিকরা জানান, বাজারে এবার ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বেশি পড়ছে। দেড় মণ ধান থেকে এক মণ চাল তৈরি হয়। অন্যান্য খরচসহ এক মণ চাল তৈরিতে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৬০০ থেকে সাড়ে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। বেশি দামে ধান কিনতে হয় বলে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
জয়পুরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় জানান, জেলায় এবার ৭২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে এবং ফলনও হয়েছে ভালো।
"