কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
নির্মাণকাজ শেষ না হতেই ভেঙে পড়ল সোনাহাট স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীর
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সোনাহাট স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়নাধীন প্রায় মোট ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমি অধিগ্রহণ করে মাটি ভরাটসহ অবকাঠামো নির্মাণ, শেটঘর, ওয়েট স্কেল, ড্রেন নির্মাণ ও সীমানা প্রাচীরসহ অন্য সব কাজের মোট ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। কিন্তু ইতোমধ্যে সম্পন্ন হওয়া সব কাজের গুণগত মান নিয়ে এলাকাবাসী ও স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুুল মজিদ, নছের আলী, রফিকুল ইসলাম, মিজু আহমেদ, জহুরুল হক, মফিজুল ইসলাম জানান, ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ সম্পন্ন হতে থাকলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। সোনাহাট স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. তমিজউদ্দিন জানান, প্রায় ২০০ ফিট সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৪৩ কোটি টাকার কাজের ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সব কাজই নিম্ন মানের। কাজের মান নিয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। সোনাহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান প্রাচীর ভেঙে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আপনি কোনো কিছু লিখলে সাব-ঠিকাদার সরকার রকীব আহমেদ জুয়েল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন।’
স্থলবন্দর নির্মাণ কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী রুবেল আহমেদ সীমানা প্রাচীর ও মাটি ভরাটকাজের ব্যয় বরাদ্দ জানেন না বলে জানান। প্রাচীর ভাঙার বিষয়ে সাব-ঠিকাদার জুয়েলের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডিং করপোরশনের প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ওয়াল ধসে পড়ার বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান। আর কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বর্গাচাষি দেল মোহাম্মদ ও আবদুুল লোকমান মিয়া জানান, আমাদের পাকা ধান ক্ষেতের ওপর ওয়াল ভেঙে পড়েছে। আমরা ঠিকাদারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই।
এ ব্যাপারে সাব-ঠিকাদার সরকার রকীব আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘নির্মাণ ব্যয়সহ সবকিছুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডিং করপোরেশন জানে। আমি শুধু মাটিসহ মালামাল সরবরাহ করি। ’
"