মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

  ০৮ আগস্ট, ২০২০

মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

মালামাল সরবরাহ না করেই ৪৯ লাখ টাকা বিল উত্তোলন!

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৯ লাখ টাকার মালামাল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মালামাল সরবরাহ না করেই বিল উত্তোলন করেছে। এ ছাড়া একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়েছেন সবগুলো কাজ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ওষুধপত্র, যন্ত্রপাতি, লিলেন সামগ্রী, গজ, ব্যান্ডেজ ও তুলা, কেমিক্যাল-রি-এজেন্ট এবং আসবাবপত্র (এমএসআর সামগ্রী) কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ছয়টি গ্রুপের মধ্যে মালামাল কেনার পাঁচটি কার্যাদেশ পান রংপুরের মেধা কনস্ট্রাকশন ও একটি পায় নিপুণ প্রযুক্তি নামের আরেক প্রতিষ্ঠান। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মালামাল সরবরাহের চুক্তিপত্র থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মালামাল পায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৭ টাকা বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

মালামাল ক্রয় কমিটির সদস্য ডা. আবদুল হালিম লাবলু বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সবগুলো বিল উত্তোলন করেছে। কিছু কিছু মালামাল সরবরাহ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, মালামাল সামগ্রী না থাকার কারণে রোগীরা নিজেরাই মালামাল ক্রয় করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ সময় কথা হয় ময়েনপুর ইউনিয়নের এক রোগীর স্বজন সেফাউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে কোনো মালপত্র পাচ্ছি না। সরবরাহ না থাকায় বাইরের ওষুধের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে হচ্ছে।

স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ছয়টি কাজের মধ্যে রহস্যজনক কারণে দুটি প্রতিষ্ঠানই সবগুলো পেয়েছেন। মালামাল সরবরাহ না করেই বিলও উত্তোলন করেছেন তারা।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল হাকিম বলেন, মালামাল ক্রয়ের ছয়টি কাজের মধ্যে রংপুরের মেধা কনস্ট্রাকশন পাঁচটি ও একটি পেয়েছেন নিপুণ প্রযুক্তি। তারা কিছু মালামাল সরবরাহ করেছেন। কিন্তু পুরো বিলের টাকা তাদের দেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক চুক্তিপত্র করা হয়েছে তাদের সঙ্গে।

মেধা কনস্ট্রাকশনের কর্র্নধার আলমাস হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে ৪০ লাখ টাকার একটি চেক, ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র করে বিলগুলো উত্তোলন করা হয়। কিছু মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে। বাকিগুলোও সরবরাহ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close