নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৪ জুলাই, ২০২০

নাগেশ্বরীর লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত গবাদিপশু, আতঙ্কিত কৃষক

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সব উপজেলায় লাম্পি স্কিন (এলএসডি) রোগে গবাদি পশু আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। কোরবানির আগ মুহূর্তে গরুর শরীরে এ রোগ দেখা দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার পৌরসভাসহ ১৪ ইউনিয়নে ঘুরে একই অবস্থা।

এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিস খুলে লাম্পি স্কিনের চিকিৎসা দিচ্ছেন। প্রায়ই অফিস খোলার আগে থেকেই মেইন গেটে গরু-ছাগল বেঁধে অপেক্ষা করছেন খামারিরা। প্রায় এক মাস ধরে উপজেলায় এই রোগাক্রমণ শুরু হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মো. মামুন মিয়া জানালেন, হঠাৎ করে গরুর গায়ে গোটা গোটা উঠে ফুলে যায়, গরু খায় না। দুর্বল হয়ে যায়। গায়ের চামড়া খুলে ঘা হয়। কৃষক জাকারিয়া জানালেন, তার এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতে গরু এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

অবস্থার কথা স্বীকার করেন ভেটেরিনারি সার্জন ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম। তিনি জানান, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ায় এ রোগের সরাসরি কোনো চিকিৎসা নেই, তবে আমরা আক্রান্ত পশুর লক্ষণ অনুযায়ী লক্ষণ উপশমের জন্য চিকিৎসা দিচ্ছি। এ রোগে মৃত্যুহার খুবই কম, বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকি বেশি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. রফিকুল আলম জানান, গত বছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় এ রোগটি দেখা যায়। এ বছর নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো দেখা গিয়েছে।

এই চিকিৎসক বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এসএএলও, এলএসপি, ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটর ও এআই টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে খামারিদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত গরুকে মশারির নিচে রাখতে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এ রোগের প্রকোপ কমে গেছে, খামারিদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে তিনি জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close