তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৪ জুলাই, ২০২০

৩ মাস পর জানা গেল তিনি অপহৃত না, আত্মগোপনে ছিলেন

ঋণের দায়ে ৩ মাস আগে আত্মগোপন করেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার বনবাড়িয়া পেচর পাড়া গ্রামের মৃত ফজলার রহামানের ছেলে হায়দার আলী (৪৫)। হায়দার অপহৃত হয়েছেন দাবি করে তার স্ত্রী রিনা খাতুন চলতি বছরের ৭ এপ্রিল নিখোঁজ হায়দারের চাচাতো ভাই ও বিমাতা ভাইদের নামে সলঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। উদ্ধারের পর জানা গেল, তিনি আসলে অপহৃত হননি, ঋণের দায়ে আত্মগোপনে ছিলেন।

সলঙ্গা থানার ইন্সপেক্টার (তদন্ত) হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে থানার উপ-পরিদশক শামিনুল ইসলাম শরিফুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স গতকাল সোমবার সকালে সলঙ্গা থানার নাইমুড়ি বাজার এলাকা থেকে হায়দারকে উদ্ধার করে।

সলঙ্গা থানার ইন্সপেক্টার (তদন্ত) হুমায়ন কবির বলেন, ‘হায়দার আলী একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। বিভিন্ন এনজিও ও ব্যবসায়ীদের কাছে ঋণগ্রস্ত হয়। এনজিও ও ব্যবসায়ীরা টাকার জন্য চাপ দিলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী নিজ বাড়ি থেকে আত্মগোপনে যান হায়দার আলী। পরে হায়দার আলীর চাচাতো ভাই কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে চারজনের নামে একটি অপহরণ মামলা করেন তার স্ত্রী রিনা খাতুন।

তিনি আরো জানান, হায়দার আলী একজন মৎস্য ব্যবসায়ী ছিল। ব্যবসা করতে করতে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরে পাওনাদারদের চাপে নিজেই আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তিতে তার স্ত্রী রিনা খাতুন হায়দার আলীর চাচাতো ভাই ও বিমাতা ভাইদের হয়রানি করার জন্যই থানায় মামলা করেন। উদ্ধারকৃত হায়দার আলীকে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close