নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ০৬ জুলাই, ২০২০

নাঙ্গলকোটে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে

আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আওয়ামীলীগের দুইগ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধের ঘটনাসহ ৪টি দোকান ও ২টি বসত ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠে। গত শনিবার বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ও উত্তর ইউপির আদ্রা গ্রামের এবং ভোলাইন বাজার এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দীপ্তি রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া রিপন, মহসীন, মেহেদী হাছান গুলিবিদ্ধ হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ইউপি পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদ্রা উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও আদ্রা উত্তর ইউপির যুবলীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন রতনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দুই ইউপির মাঝামাঝি ভোলাইন বাজারটি হওয়াই এমনিতে যে কোনো তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাজারের দোকানগুলোতে হামলা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার বিকেল ভোলাইন বাজারের চেয়ারম্যান গ্রুপের মান্নান ও বেলালের দোকান এবং আদ্রা গ্রামের আলী আকবর ও সালেহা বেগমের বসতঘর ভাংচুর করে রতন গ্রুপের লোকজন। পরে চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ভোলাইন বাজারের অজি উল্লাহ মিয়াজীর ও সিরাজের দোকান ভাংচুর করে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, শনিবার বিকেলে নাছির উদ্দীন রতনের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে তার দোকানে হামলা চালিয় ভাংচুর করে। দোকানে থাকা নগদ ৭৩ হাজার টাকাসহ মালামল লুট করে নেয়। এতে করে তার ৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। ক্ষতিগ্রস্থ অপর ব্যবসায়ী সিরাজ বলেন, চেয়ারম্যান গ্রুপের লোক বাবুল মেম্বারের নেতৃত্বে তার দোকান ভাংচুর করা হয়। এ সময় দোকানে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত আদ্রা উত্তর ইউপির যুবলীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন রতন বলেন, ঘটনার দিন তিনি শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। তার কাছে ফোন আসে ভোলাইন বাজারের পোলাপানে পোলাপানে কথা কাটি হয়। থানা থেকে এসআই সোহেল মিয়া গিয়ে তা সমাধান করে দেয়। পরে রাত ১১ টার সময় বাবুল মেম্বারের নেতৃত্বে তার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, কিছু দিন পূর্বে হিন্দুরে একটি মামলা নিয়ে রতনের লোকজন চাঁদা দাবি করে। এতে পোলাপানদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রতনের আত্মীয় স্বজনরা ও জুলিয়াসের নেতৃত্বে আকিলদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উভয় পক্ষের ঘটনায় এলাকায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এখন পর্যন্ত বাবুল মেম্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে রতনও মামলা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উভয় জনের মামলার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close