ঝালকাঠি প্রতিনিধি

  ০৬ জুলাই, ২০২০

ঝালকাঠিতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৮ হাজার পশু

কুরবানি উপলক্ষে ঝালকাঠিতে পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে ৮ হাজার ৭৪৩টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু ও ছাগল এ মোটাতাজা কার্যক্রম চলছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠিতে পারিবারিকভাবে সারা বছর গরুর সঠিক পরিচর্যা করে মটোতাজা করণে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ৬ হাজার ৯শ’ ৯২টি পশু রয়েছে। যার মধ্যে ষাঁঢ় ৩ হাজার ৮শ’ ৪৩টি, বলদ ৪১৬টি, গাভী ১০১৫টি এবং ছাগল ১ হাজার ৭শ’ ১৭টি। শুধুমাত্র কুরবানি উপলক্ষ্যে খামারীরা ১ হাজার ৭শ’ ৫১টি পশু বাণিজ্যিকভাবে মোটাতাজাকরণ করছেন। এরমধ্যে ষাঁঢ় ৮শ’ ৯০টি, বলদ ২শ’ ৮৬টি, গাভী ১শ’ ৩১টি এবং ছাগল ৪শ’ ৪৪টি।

গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ে সদর উপজেলার গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নের বৈদারাপুর গ্রামের নাসির হাওলাদারের স্ত্রী খামারী ফাতিমা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, স্বামী ক্ষেতে খামারে কাজ করেন। আমি গৃহবধূ হিসেবে ছোট একটি গোয়াল ঘরে গাভী ও বলদ মিলিয়ে ৫টি গরু লালন পালন করি। সারা বছর লালন-পালন শেষে প্রতিবছরই কুরবানির হাটে বিক্রি করি। পারিবারিক খামার থেকে আমাদের বড় ধরণের পুর্জি অর্জন হয়।

ফাতিমা বেগম আরো জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই কয়েকটি ছাগল পালতাম। ছাগল বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা পুজি হলে তা দিয়ে প্রথমে একটি গাভী গরু কিনি। এরপর বিআরডিবি থেকে ঋণ নিয়ে আরেকটি গরু কিনি। এদের সমন্বয়ে প্রাকৃতিক প্রজননের মাধ্যমে আমাদের গোয়ালঘরে গরু বাড়তে থাকে। এখন আমার গোয়ালে ৫টি গরু আছে। করোনার সময়ে কুরবানি গরুর হাটে কেমন দাম হবে? ন্যায্য দাম পাবো কি না? সে দুশ্চিন্তায় একটি বলদ গরু কশাইয়ের কাছে বিক্রি করেছি। এখন প্রাকৃতিক খাবারের সঙ্গে ভিটামিন, দানাদার ও সুষম খাদ্য খাইয়ে গোয়ালে থাকা গরুগুলোকে মোটাতাজা করতেছি। কুরবানির হাটে যদি ভালো দাম পাই তাহলে বিক্রি করবো। আর যদি দাম কম হয় তাহলে কুরবানির পরে কশাইয়ের কাছে বিক্রি করবো।

মোটাতাজা করণের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ ছাহেব আলী জানান, প্রথমে কৃমি নাশক ওষুধ খাইয়ে কৃমিমুক্ত করে দানাদার খাদ্য, ভিটামিনের সঙ্গে মিনারেল মিক্স, কাঁচা ঘাসসহ সুষম খাবার দিতে হয়। তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে কুরবানির জন্য পশুকে মোটাতাজা করা সম্ভব হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গরু মোটাতাজা করণের জন্য অনেক অসাধু ব্যবসায়ী স্টোরয়েড হরমোন ব্যবহার করে থাকেন। যা কুরবানির হাটে নিলে গরুর চেহারা দেখেই অনুমান করা সম্ভব হয়। এ ধরনের পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close