বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

  ০৪ জুলাই, ২০২০

‘একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’

ঋণ পরিশোধে নোটিস দিল সরকারি প্রকল্প!

করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সরকার। এ সময়ের মধ্যে কোনো ঋণ গ্রহিতার নিকট থেকে ঋণের কিস্তি বা বকেয়া এমনকি খেলাপি করা যাবে না। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ঋণের গ্রাহকদেরকে ঋণের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা বা চাপ না দেয়ার জন্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এমন বিধি নিষেধ থাকলেও মানা হচ্ছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত ‘একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’।

বিজয়নগর উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে উপজেলার কয়েকজন ঋণ গ্রহীতাকে ঋণ পরিশোধের জন্য খেলাপী উল্লেখ করে হলুদ কাগজে চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ জুন চূড়ান্ত নোটিশে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বিজয়নগর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক রণন প্রতিম ভাওয়াল স্বাক্ষরিত নোটিশ গ্রাহকদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছানো হয়েছে।

নোটিশ ঘেটে দেখা যায়, গ্রাহকের ঋণ খেলাপী হয়েছে মর্মে নোটিশ প্রাপ্তির পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ না করলে গ্রাহকের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশ পেয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, সরকার যে জায়গায় মহামারি করোনাভাইরাস এর সময় মানুষকে সাহায্য সহযোগীতা করছে সেই জায়গায় সরকার কর্তৃক পরিচালিত অফিস থেকে বকেয়া পরিশোধের জন্য চাপ দেওয়া হয় তাহলে করোনার কারনে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে বেকার সময় পার করছি। বউ বাচ্চা নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছি এরই মধ্যে এমন নোটিশ পেয়ে আমরা গ্রাহক চরম হতাশা ও চিন্তায় পড়েছি। এখন কি করবো। কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা। বিজয়নগর উপজেলা শাখা ব্যবস্থাপক রণন প্রতীম ভাওয়াল বলেন, এই বিষয়ে সকাল থেকে অনেক সাংবাদিকের ফোন করেছিল। আমার জায়গায় নেট সমস্যা কথা ক্লিয়ার না। আপনি (সাংবাদিক) রোববার অফিস টাইমে দেখা করেন বলে ফোন কেটে দেন তিনি। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ দিলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। আপনি (সাংবাদিক) বলেছেন আমি কর্মকর্তাকে ডেকে এনে জিগ্যেস করবো।

এই বিষয়ে জানতে একটি বাড়ি একটি খামারের জেলা ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেনকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close