কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

চুরির অপবাদে মা-ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাগল চুরির অপবাদে মা-ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে বারটার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে মা শাহীনুর বেগম (৪৫) ও ছেলে ইউসুফ (১৯) কলাপাড়া হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

ভুক্তভোগি ইউসুফ জানায়, সে পেশায় একজন মটরসাইকেল চালক। ঘটনার দিন রাতে মহিপুর বাজার থেকে যাত্রি নিয়ে পাখিমারা বাজারে নামিয়ে হোন্ডা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। এর কিছুক্ষন পরে বাড়ির ভিতর থেকে কেউ একজন এসে তাকে ছাগল চোর বলে ধাওয়া করে। প্রান ভয়ে দৌড় দিলে তাকে ধরে দুহাত বেঁধে রাতভর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। খবর পেয়ে তার মা শাহীনুর বেগম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তার মায়ের উপরও নির্যাতন চালায় একই এলাকার জসীম, বনি-ইয়ামিন, শাহীন, সাকিবসহ আরো ৭/৮ জন। তার মাকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে লোহার শিকল দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ডান হাত ও দুটি আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলা হয়। বর্তমানে ভাঙ্গা হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের যন্ত্রনা নিয়ে হাসপাতালের শয্যায় তাকরাচ্ছেন তিনি।

আহত শাহীনুর বেগম জানান,‘ছেলেকে বাঁচাতে গিয়েছিলাম। ওরা আমার উপড় অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে।’

আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুলতান আহমেদ জানান, তার সামনেই কয়েক দফায় চলে এমন নিষ্ঠুরতা। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি বাঁধা দেওয়ার সাহস পাননি। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান অ্যাড. নাসীর মাহমুদ জানান, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি প্রকৃত পক্ষে ওই ছেলেটা চুরি করেনি। ঘটনাস্থল থেকে অনেক দুরে ছিল, এমনকি ওর কাছে ছাগল পায়নি। কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী জানান, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close