জামালপুর প্রতিনিধি

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

জামালপুর পিবিআইর তদন্ত

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বন্ধুর হাতে খুন হয় আঙ্গুর

ধার দেওয়া ৫০০ টাকা ফেরত চাওয়ার অপরাধে বন্ধুর হাতে খুন হয় আঙ্গুর (২৮)। পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ক্ষুব্ধ বন্ধু জুয়েল মিয়া সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে আঙ্গুরকে। জামালপুর পিবিআই’র তদন্তে উন্মোচিত হয়েছে লোমহর্ষক এ হত্যাকা-ে জড়িত অপরাধীদের নাম পরিচয়। ইতোমধ্যে পিবিআইয়’র হাতে গ্রেফতার হয়েছে হত্যাকা-ে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত জিয়ার আলী।

জামালপুর পিবিআই সূত্র জানায়, শেরপুরের নকলা উপজেলার ভুরদী নয়াপাড়া গ্রামের অটোরিকসা চালক আঙ্গুর আলীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয় বন্ধু অটোরিকশা চালক জুয়েল। এ টাকা চাইতে গেলে দুই বন্ধুর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০১৬ সালের ৯ জুলাই বিকালে আঙ্গুর আলীকে রাস্তায় একা পেয়ে জুয়েল তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আঙ্গুরের নিথর দেহ রাস্তায় ফেলে যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মছেন আলী বাদি হয়ে জুয়েলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরে সিআইডি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায়। হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত তিন আসামি রুবেল, ফকির ও মাফিজুরকে বাদ দিয়ে আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয় সিআইডি। পরে বাদির নারাজীর প্রেক্ষিতে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় জামালপুর পিবিআই। তদন্তের এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফুজ্জামান খান প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নির্নয় করে হত্যাকা-ের প্রধান আসামি জিয়ার আলীকে আটক করে। জিয়ার আলী গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বেচ্ছায় আঙ্গুর আলী হত্যা ঘটনায় সে ছাড়াও রুবেল, ফকির ও মাফিজুরসহ নয়জনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, সিআইডি’র প্রতিবেদনে অব্যাহতি প্রাপ্ত অভিযুক্ত ৩ আসামীকে মামলায় সংযুক্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, মামলা তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে খুব দ্রুতই আদালতে চার্জশীট দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close