কুমিল্লা প্রতিনিধি

  ০৭ জুলাই, ২০১৯

কুমিল্লায় দফায় দফায় হামলা, ১০ বাড়ি ভাংচুর

কুমিল্লায় সদর উপজেলায় পাওনা টাকার জের ধরে অন্তত ১০টি বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধনুয়াখলা গ্রামের ৫টি পরিবারে এই হামলা করা হয়। গত শুক্রবার রাত ১১টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এলাকার যুবলীগ কর্মী শাহিনের নেতৃত্বে হামলাকারীরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় বলে ভূক্তভোগী পরিবারের দাবি।

ভুক্তভোগীরা জানান, ধনুয়াখোলা গ্রামের মাইনুদ্দিন আলমের সঙ্গে একই গ্রামের যুবলীগ কর্মী শাহীনের লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিরসনে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুইপক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির সূত্রধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১১টায় যুবলীগ কর্মী শাহিনের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের এক বাহিনী মাইনুদ্দিন আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় একই বাড়ির মিজান, মকবুল আহমেদ, বারেকের বাড়ি ভাংচুর করা হয়। এতে বাড়িতে থাকা নারী,শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, কালির বাজার ইউনিয়নের বর্তমানে এক আতঙ্কের নাম শাহিন বাহিনী। শাহিন স্থানীয় একনেতার ছত্রছায়া থেকে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বাহিনী গঠন করেছে। তাদের নিয়ে অহরহ চাঁদাবাজি, জমি দখল, সালিশ বৈঠকের নামে টাকা খাওয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেও তিনি কালিরবাজার ইউনিয়নের বশির মেম্বারকে নির্যাতন করে হাত পা ভেঙ্গে দেন। এছাড়া শাহিন যুবলীগের নাম ব্যবহার করে গত ছয় মাসে অন্তত ১০ থেকে ১৫ টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

এজন্য অভিযুক্ত শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগের একাধিকার চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। পুলিশ হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close