বগুড়ার আদমদীঘিতে পরকীয়ার জেরে ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাতে বাদল (৩৫) নামের এক ভাংড়ি ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার সান্তাহার লকু পশ্চিম কলোনী দীঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল নওগাঁর কালিতলা এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে ওই এলাকার জামাল মিস্ত্রীর বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করতো।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর পূর্বে নওগাঁর বালুডাঙ্গা হাজী আমবাগানের আফতাব আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম ও হাট নওগাঁর বাদল মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলখানায় থাকাকালে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। জামিনে মুক্ত হয়ে তারা একে অপরের বাসায় যাতায়াত করে। এক পর্যায়ে রেজাউল ইসলাম ও বাদলের স্ত্রীর মধ্যে উভয়ের পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত প্রায় ১ বছর আগে বাদলের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী নার্গিস বেগমকে রেজাউল বিয়ে করে। এর ছয় মাসের মাথায় রেজাউলের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী ফাতেমাকে বাদল পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। পরে তারা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে।

নিহত বাদলের বাবা জানায়, গত বুধবার দুপুরে রেজাউল ইসলাম সন্তান দেখার অজুহাতে বাদলের ভাড়া বাসায় গিয়ে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে যায়। এরপর রাত ৮টায় দিকে রেজাউল বাদলের ভাড়া বাসায় অতর্কিত প্রবেশ করে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। রাতেই আহত বাদলকে প্রথমে নওগাঁ সদর ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

"