সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

  ২০ এপ্রিল, ২০১৯

হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ

নবজাতক সন্তানকে উপযুক্ত চিকিৎসার দিতে যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাগআচড়া এলাকা থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন ইয়াকুব আলী। সন্তানকে ভর্তি করান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। কিন্তু সেখানেই যে অক্সিজেনের অভাবে মারা যাবে সদ্য ভূমিষ্ট সন্তানটি কে জানতো। নবজাতককে বাঁচাতে আধা ঘন্টারও বেশী সময় ধরে স্যালাইন হাতে ঝুলিয়ে ধরে রাখেন বাবা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা গেছে শিশুটি। অক্সিজেনের অভাব আর নার্সদের অবহেলায় কারণে বাঁচানো গেলো না দুই দিনের শিশু রাবেয়াকে।

শিশুটির বাবা ইয়াকুব আলী হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকা ও নার্সদের অবহেলার অভিযোগ করে জানান, বাগআচড়ার স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে বুধবার জন্ম হয় রাবেয়ার। এরপর সেখানকার ডাক্তারদের পরামর্শে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। সারাদিন সুস্থ ছিলো মেয়েটি। রাত ৮টার দিকে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়। অক্সিজেন খুলে নিয়ে বাচ্ছাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। তখন অক্সিজেনের কারণে বাচ্চাটি অনেক কষ্ট পাচ্ছিলো। নার্সকে বার বার ডেকে অক্সিজেন দেওয়ার কথা বললেও তিনি দেননি। তিনি আরও বলেন, এরপর আমরা যখন অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে বাচ্চাটিকে খুলনায় নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি তার আগেই মারা গেছে মেয়েটি। নার্স একটু কথা শুনলেও মেয়েটিকে হারাতে হতো না আমাদের।

দায়িত্বরত সেবিকা দিপা বলেন, বাচ্চাটির অবস্থা খুব খারাপ ছিলো। সেজন্য জরুরীভাবে বাচ্চাটিকে খুলনায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে রেফার্ড করা হয়। সেই সঙ্গে অক্সিজেন খুলে নেওয়া হয়। পরে বাচ্চাটি মারা গেছে। আমাদের দায়িত্বে কোন অবহেলা ছিলো না।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শামসুর রহমান বলেন, বাচ্ছাটি বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রি-ম্যাচিউট বাচ্চা। যশোরের বাগআচড়া থেকে অক্সিজেন ছাড়াই এখানে আসে। বাচ্ছাটির অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে তাকে নিয়ে খুলনায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু হাসপাতাল ত্যাগের সময় অ্যাম্বুলেন্সে মারা গেছে বাচ্ছাটি।

অক্সিজেন না দেওয়া ও নার্সের অবহেলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বাচ্ছার অক্সিজেন না দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। অক্সিজেন কেন দিবো না। কেউ চায় অক্সিজেনের অভাবে কোন বাচ্ছা মারা যাক। বাচ্ছাটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। সেজন্য তাকে রেফার্ড করা হয়। কেউ মারা গেলে তাদের তার আপনজনরা না বুঝেই এমন অভিযোগ করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close