শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ে যাওয়া যেন প্রাণের ঝুঁকি
প্রতিদিন শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়া এখন প্রাণের ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে সহস্রাধিক শিশুর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাগুরা-যশোর মহাসড়ক পাড় হচ্ছে ঝুঁকি শালিখা উপজেলার দুইটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। গত পাঁচ বছরে এই মহাসড়কের প্রাণ হারিয়েছে ৫ জন। একই অবস্থা উপজেলার আরো ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানের। তারপরও নেওয়া হয়নি নিরাপত্তার উদ্যোগ। উপজেলার স্বনামধন্য দুইটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দাবি, গেটের সম্মুখে একটি ওভার মিনিপাস।
স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচ বছরে মাগুড়া-যাশোর মহাসড়কে দ্রুত গতির যানের কবলে প্রাণ হারিয়েছে শিক্ষার্থী ও পথচারী সহ ৫ (পাঁচ) জন। দুর্ঘটনা ঘটেছে আরো বেশি। আর মরতে মরতে বেঁচে যাওয়ার কোনো হিসেবে নেই। প্রতিদিনই এই প্রাণ নাশের ঝুঁকিতে পার হতে হয় শিক্ষার্থীদের।
‘সন্তানদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে মহসড়ক একটি বড় বাঁধা’ মন্তব্য করে একাধিক অভিবাবক ও স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার আড়পাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা করতে যায়। এর মধ্যদিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনছে তারা। এছাড়া সেওজগাতী আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, শতখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৃষ্ণপুর সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ উপজেলার প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের দিয়ে চলে গেছে মাগুরা-যশোর মহাসড়ক। এই বিদ্যালয়গুলোর প্রতিটির সমানের একটি করে স্পীডব্রেকার প্রয়োজন যাতে করে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পথচারীরা নির্দি¦ধায় রাস্তা পারাপার করতে পারে।
জানতে চাইলে সেওজগাতী আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যে সড়কটি রয়েছে যেখান দিয়ে প্রতি দিন শতশত নসিমন, করিমন, ভডভডি ও মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। চলাচলের সময় বিদ্যালয়ের নিকটে এসে গতি কমানোর কথা থাকলেও তারা তা না মানায় কমই। ফলে খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমার দাবি, অনতি বিলম্বে বিদ্যালয়ের রাস্তার দুই পাশে দুইটি স্পীডব্রেকার নির্মাণ করা।
"