মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ২১ জানুয়ারি, ২০১৯

ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

মির্জাগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আবদুস ছালাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ওই শিক্ষককে দিয়ে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করানোর অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

ছাত্রীর বাবা ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দেউলী পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (ইংরেজী) মো. আবদুস ছালাম হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছেন। বিভিন্ন সময় তিনি শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছেন। গত মঙ্গলবার ক্লাস চলাকালীন দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর শরীরে হাত দেন, পরে ছাত্রী তার অভিভাবককে নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগপত্র দেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার পরের দিন শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে দিয়ে নিয়মিত ক্লাস করানো হচ্ছে এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কয়েকজন সদস্য তার পক্ষে কাজ করছেন এমন অভিযোগ করেন ছাত্রীর বাবা ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক। তিনি এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে প্রায়ই ছাত্রীদের সঙ্গে এরকম অশালীন আচরণ করেন। ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, সুষ্ঠু বিচার না হলে তিনি ঐ স্কুলে অধ্যায়নরত তার দুই কন্যাকে অন্যত্র ভর্তি করাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান। এছাড়াও চার বছর পূর্বে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুস সালাম হাওলাদারকে উপজেলার বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন একই অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে শিক্ষক আবদুস সালাম হাওলাদার তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এলাকার একটি কুচক্রিমহল আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে দেউলী পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফজাল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিদ্যালয়ে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে ক্লাসে পাঠদানের সময়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close